আজ ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম বায়োজিদে গার্মেন্স শ্রমিককে পিটিয়ে যখম

চট্টগ্রাম রিপোর্টার: মোহাম্মদ মাসুদ

গার্মেন্স পন্যবহনকারী শ্রমিককে মালামাল নেওয়াকালে বিঘ্নতা সৃষ্টি করে,অহেতুক বিনা কারণে এলোপাথারী মারধর,ফুলা-যখমসহ লোমহর্ষক কায়দায় রক্তাক্ত রণরঙ্গের পরিনত করা জখমকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে একই মার্কেটের আরেক গার্মেন্স কর্মচারী শ্রমিক।

১৫ নভেম্বর, দুপুর ১ঃ৩০মি. বায়োজিদ থানাধীন বালুচরা,তুফানী মোড়,আয়শা আলী মার্কেটে খাজা আজমির ফার্নচারের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে একই মার্কেটের জে এস এ্যাপারেলস লিঃ এর কোম্পানির মালিক/কর্মচারী শ্রমিক।

ভুক্তভোগী গার্মেন্স কর্মচারী শ্রমিক যাদের কেন্দ্র করে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে খাজা আজমির ফার্নিচারের মালিক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ-তিনি উল্টো অভিযোগ করেছেন যে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে যে- প্রতিপক্ষ নাকি তাকেই নির্দোষ সত্ত্বেও রক্তাক্ত করেছে বলে দাবি করেছেন।

তথ্য অনুসন্ধানে অন্তরালে সত্যতায় জানা যানা যায়-দুই পক্ষের দুইজনই লোমহর্ষক কায়দায় মারামারি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা প্রমাণিত হয়।

তবে উক্ত ঘটনা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ ও দু’পক্ষই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। প্রত্যেকেই নিজেদেরকে প্রতিপক্ষের কর্তৃক গৃহীত নির্মম ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত ও সঙ্গবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে এলোপাথারী মারধর ও রক্তাক্ত জখমের ও জীবনঝুকিপূর্ণ পরিস্থিতির স্বীকার বলে জানায়।

গার্মেন্স শ্রমিক কর্মচারী ভুক্তভোগী উক্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছে।

কিন্তু খাজা ফার্নিচারের মালিক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ-তিনি এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে পরে জানাবেন ও কথা বলতে অনাআগ্রহ প্রকাশ করে। তার ছেলে ইসমাইল কে একধিকবার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায় নি।

মারাত্মক ও ভয়াবহ জীবনঝুঁকিপূর্ণ মারামারি ঘটনা ঘটেছে তা সত্য কিন্তু খাজা ফার্নিচারের মালিক সেটা সমাধানের নিমিত্তে আন্তরিক অনুগত ও কৃতজ্ঞ না দেখিয়ে উল্টো নিজের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতাধর উগ্রতা অভদ্রতা অবাধ্যতার প্রকৃতির ভূমিকাই রেখেছে বলে দাবি মার্কেট মালিক মোহাম্মদ মুনাফ।

মার্কেটের মালিক আরো বলেন- ঘটনা ঘটেছে কিন্তু সমাধানের জন্য ডাকা হলেও যায়নি ফার্নিচারের মালিক।অতচ অনেক দুর থেকে এসে সমাধানের নিমিত্তে আন্তরিকতার সদিচ্ছা সবরকম প্রচেষ্টা ও ইচ্ছা পোষণ করেছেন গার্মেন্টসের মালিক। আর এমন উত্তর দেন মার্কেট মালিক মোহাম্মদ মুনাফ স্বয়ং। আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবে ঘটে যাওয়া বিষয়টি সমাধানের নিমিত্তে ডাকালে উপস্থিত না হয়ে অবহেলা ও জনাকীর্ণতা প্রকাশ করে খাজা ফার্নিচারের মালিক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ।

ঘটনাস্থল থেকে জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে উপস্থিত কর্তব্য পালনকাী পুলিশ কর্মকর্তা এ,এস,আই,সৈয়দ আবুল হাশেম বলেন-মারামারির ঘটনাটি সত্য। তবে উভয়ই পক্ষের দোষ আছে।দেখা যাক তদন্তে যা করা যায়।

প্রসংঙ্গতঃ গণতন্ত্রের স্বাধীন বাংলাদেশের যে কোনো মানুষের মুক্তমনের প্রত্যাশা,স্বাধীনমত প্রকাশের অধিকার আছে। সেই হিসেবে শ্রমিক হলেও একজন মানুষ তারও রয়েছে অধিকার। থাকবে মানুষ হিসেবে কাছে অনূভুতি প্রকাশ করার সক্ষমতা। তাতে কোনো বাধা নাই। কেউ চাইলে তারমত ক্ষমতা অপব্যবহার চাইলেই করতে পারে না।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তারপরও মানুষ কেন একজন অারেক জনকে (শ্রমিক) হোক যেই হোক কেন অনাক্ষাঙ্খিত এলোপাথারী মারধর ও রক্তাক্ত রণরঙ্গানের জখম করে। অভিযোগে উল্টো নিজেকেই বিনা দোষে রক্তাক্ত করেছে বলে দাবি করে ।

উপস্থিত দুই পক্ষের বক্তব্যের ভিত্তিতে উপস্থিত জনরায়ের মতামতের ভিত্তিতে সত্য যাচাইয়ের মাধ্যমে মানবিক প্রতিফলনের মধ্য দিয়ে প্রকৃতদোষী ও অপরাধীর মুখোশ উন্মোচন জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও উদ্যোগে যতায়াত সু-ব্যবস্থা ও সেবা কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর