আজ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চন্দনাইশ হাশিমপুরে সম্পত্তি দখল নিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার, ভুক্তভোগির থানায় অভিযোগ

চট্টগ্রাম রিপোর্ট : হুমায়ুন কবীর হীরু

সম্পত্তির দখলের জেরে রবিচা খাতুন এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রবিচা খাতুন।

রবিচা খাতুন জানান আমার ভােগ দখলীয় পাহাড়ে বসত ভিটি সহ বাগান ভূমি এবং জায়গা জমি আছে । উক্ত জায়গা গুলি আমি দীর্ঘদিন যাবৎ গাছ – গাছালি রােপন করিয়া এই যাবত ভােগ দখলরত আছি । আমার ভাই বর্নিত ১ নং বিবাদী অন্যায় লােভের বশবর্তী হইয়া জোরজুলুমের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন কুটকৌশলে জবর দখলের চেষ্টা করিয়া আসিতেছে ।

গত ১৬/০৯/২০২১ তারিখ রাত আনুমানিক ০৭.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন অজ্ঞাতনামা আরাে ২/৩ জন লােক নিয়া আমার বসত ঘরে আসিয়া বসত ঘরের দরজা বন্ধ করিয়া দেয় । বিবাদীগন আমাকে একটি ৩০০ / -টাকা মূল্যমানের ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে বলে । তখন আমি স্বাক্ষর দিতে অপারগতা জানাইয়া বিবাদীগনের এহেন জঘন্য অন্যায় কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করিলে তারা উত্তেজিত হয়ে আমার গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরােধ করিয়া প্রানে হত্যার চেষ্টা করে এবং সকল বিবাদীগন আমাকে এলােপাতাড়িভাবে কিল , ঘুষি , লাথি মারিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে । বিবাদীগন একপর্যায়ে আমার নিকট হইতে জোরপূর্বক একটি ৩০০ / -টাকার মূল্যমানের ফাকা স্ট্যাম্পে আমার টিপসহি নেয় । আমার শােরচিকারে আশপাশ হইতে লােকজন আসিতে থাকিলে বিবাদীগন আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি , ভয় – ভীতি প্রদর্শন করিয়া চলিয়া যায় । বিবাদীগন আমার নিকট হইতে জোরপূর্বক নেওয়া উক্ত স্ট্যাম্পে কোন কিছু লিপি করিয়া জাল দলিল বা কোন চুক্তিনামা সৃজন করিয়া আমার ভােগ দখলীয় উক্ত পাহাড়ী বাগান ভূমি , জায়গা জমি হইতে আমাকে বেদখল করিতে পারে । আমার ছেলের ঘরের নাতী মােঃ জাহেদুল ইসলাম আমাকে চন্দনাইশ হাসপাতালে আনিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং বিষয়টি স্থানীয় ০৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বারকে অবহিত করেছি।

ঘটনাটি প্রমাণ রাখার জন্য বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে যখন তারা আমার দিকে আক্রমণ করছিল তখন আমার পরিবারের সদস্যরা তা ভিডিও করার চেষ্টা করে। তখন বিবাদী বদিউল আলমের সাথে আসা সন্ত্রাসীরা আমার পরিবারের হাত থেকে মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে যায় আমার মেয়ে মোবাইলটি উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমার পরিবারের চুল ধরে বদিউল আলমের সন্ত্রাসীরা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। পরে লোকজন আসা শুরু করলে সন্ত্রাসীরা গেট খুলে দিলে আমি, আমার পরিবার, সবাই উদ্ধার হই। সন্ত্রাসীদের আঘাতে আমরা দুইজন আহত হই। এর মধ্যে মারাত্মক আহত আমি এবং আমার পরিবার বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ বিষয়ে আমি গত ১৬/০৯/২০২১ তারিখ বৃহস্পতিবার চন্দনাইশ থানা একটি অভিযোগপত্র দায়ের করি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বদিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান জায়গাটির তার নিজের । আর আমি হাজী মানুষ কাউকে আক্রমণ করার কোন ইচ্ছা আমার নাই। আমি তাদের কিছুই করিনি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঘটনার তদন্ত দায়িত্বে থাকা চন্দনাইশ থানার এসআই আজাহারুল জানান, এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ এসেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং হামলার শিকার হওয়া বাড়ি এবং রবিচা খাতুন ও তার মেয়েকে হাসপাতালে দেখে এসেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর