চট্টগ্রাম রিপোর্টার: হুমায়ুন কবীর হিরু
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশব্যাপী সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে দেশ লগডাউনে নির্মজ্জিত ছিল। সারাদেশের মানুষ একরকম প্রায় গৃহবন্দি দিন কাটাচ্ছিল। মাঝখানে লকডাউন কিছুটা শিথিল হলেও আবারো করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ধাপ মোকাবেলায় সরকার নতুন করে আগামী পহেলা জুলাই থেকে সাতদিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে,এ অবস্থায় করুণ দুর্দশা ও অভাব অনটনে দিন কাটাচ্ছে স্বল্প ও মধ্য আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
সেই সব অসহায় এলাকাবাসির পাশে নিজকে উজাড় করে ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন একজন পরোপকারী সমাজ সংস্কারক ও সমাজসেবক কাতালগঞ্জ সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও কাতালগঞ্জ বড় মসজিদের সহকারি মতোয়াল্লী এবং শোলকবহর ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পাঁচলাইশ থানা আওয়ামী লীগের বর্তমান সদস্য মোহাম্মদ এমরানুল হক।
রাত নির্জন, পথে কত ভয়, তবুও ছোটে চলেছে মানুষের দুয়ারে কি দিন কি রাত করোনার শুরু থেকে এই পর্যন্ত অবিরাম ছুটে চলেছেন সমাজসংস্কারক গরিবের বন্ধু ।করোনার ভয়ে যখন লোক দেখানো সেবকরা ঘরের কোনে লুকিয়ে পড়ে ঠিক তখনই প্রকৃত সেবকের আর্বিভাব ঘটে,সেই প্রকৃত পরোপকারী সেবক ইমরানুল হক।
কথা গুলো বলছিলেন এলাকার এক নাম না বলা বৃদ্ধ, তিনি আরো বলেন করোনাকালে আমাদের মহল্লায় রমজানের ইফতার ও সেহেরি থেকে শুরু করে প্রায় সবরকম সহযোগিতা তিনি আমাদের করে গেছেন, এলাকাবাসীরা বলেন কখনো অর্থ কখনো পণ্যদ্রব্য দিয়ে সবসময় এলাকার অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন তিনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সমাজ সেবক ইমরানুল হক বলেন,দানে কমেনা ধন, প্রশান্তি পায় মন।এটাতো চোখের নয় অন্তরের ব্যাপার। ক্ষুদ্র হোক আর বড়, ভালোবেসে পাশে থেকে প্রিয় ওয়ার্ড বাসীকে আগলে ধরাটাই আমার কাজ,কারন আমি চাই এলাকাবাসীর পাশে থেকে তাদের সুখ দুঃখের সাথী হতে।
আমি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, আমি একজন আপনাদের মত সাধারন মানুষ,সময়ের প্রয়োজনে সবার আগে এলাকার সন্তান হিসেবে আমাকে নিজ এলাকাবাসীর পাশে থেকে কাজ করতে হবে, আমি তাই করে যাব, আমার এলাকার বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি আকুল আবেদন বড় ছোট সকলের তরে,এগিয়ে আসুন সর্বস্তরের মানুষের উপকারে। সহায়তার হাত দিন বাড়িয়ে নিজের প্রতিবেশীর।
Leave a Reply