চট্টগ্রাম রিপোর্টার
বিয়ে ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আটকে রেখে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে ০৪ জন ধর্ষণকারীকে আটক করেছে , র্যাব-৭
গত ১৩ জুন ২০২১ ইং তারিখ ভিকটিমের পিতা মোঃ আরাকান মিয়া র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ অভিযোগ করেন যে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র তার মেয়েকে চট্টগ্রাম শহরের ফ্রিপোর্ট এলাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে তার মেয়েকে চট্টগ্রামে একটি বাসায় আটক করে রাখে।
অতঃপর ঐ বাসায় ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জীবন নাশসহ পরিবারের বিরাট ক্ষতি করবে মর্মে হুমকি দেখিয়ে মোঃ জসিম (২৭) ও তার সহযোগীরা জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমকে উদ্ধার ও ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়াতদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায় র্যাব-৭ জানতে পারে যে, ধর্ষণকারীরা ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন বাকলিয়া নতুন ব্রীজ সেল সেন্টারের সামনে একটি বাসায় আটকে রেখেছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ জুন ২০২১ ইং তারিখ ১৯৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা আসামী ১। মোঃ জসিম উদ্দিন (২৭), পিতা-মৃত মোহাম্মদ আলী, সাং-ছনুয়া, মধুখালী, আমজাদ আলীর বাড়ী, থানা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। মোঃ নুরুল আজিম (২৮), পিতা-মোঃ ইজ্জত আলী, সাং-ছনুয়া, মধুখালী, আমজাদ আলীর বাড়ী, থানা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম, ৩। মোঃ জাবের আহাম্মদ (৪৮), পিতা-মৃত ফরিদ আহাম্মেদ, মাতা-মৃত জয়নাব বেগম, সাং-পাথরঘাটা, ওমর আলী মার্কেট, আশরাফ আলী রোড, কালাবাগিচাঁ, থানা-কোতয়ালী, সিএমপি, চট্টগ্রাম এবং ৪। মোহাম্মদ নবী (২২), পিতা-মোঃ আবু তাহের, সাং-পূর্ব চাম্বল, হায়দারি পাড়া, থান-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রামদের আটক করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামীরা ভিকটিমকে মিথ্যা বিবাহের ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আটকে রেখে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। র্যাবের এ অভিযানে ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার করায় ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন সন্তোষ প্রকাশ করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply