চট্টগ্রাম কন্ঠ :ভেক্স
নগরীর ২৫ নং রামপুর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এমরান চৌধুরী। স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটনের সাপ্লাই প্রতিষ্ঠান ‘তারা ট্রেডার্স লিংক’ এর সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। ২০১৮ সাল থেকে তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আব্দুস সবুর লিটনের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। এ সময় আব্দুস সবুর লিটনের কথিত ভাতিজা হিসেবে পরিচিত মনিরুল ইসলাম আজাদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একটা সময় দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিপদে-আপদে একজন অপরজনের কাছ থেকে সহযোগিতা নেন। এক পর্যায়ে বন্ধু আজাদের ওপর আস্থা রেখে পাহাড়তলী মৌজায় মেট্রো এসেট কর্তৃক নির্মিত মেট্রো সাইমাহ নামের একটি আবাসিক ভবনে ১১৮২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের বিক্রয়ের দায়িত্ব দেন এবং আমমোক্তার নামা নিযুক্ত করেন এমরান চৌধুরী। আজাদ এমরানকে না জানিয়েই চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ৫০ লাখ টাকায় অন্যত্র বিক্রি করে দেন। কিন্তু, সাব কবলায় ২৫ লাখ টাকা দেখানো হয়। আর এই বিষয়টি কয়েক মাস পর এমরান চৌধুরী জানতে পারলে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে গত ২১ নভেম্বর মধ্যরাতে মনিরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি স্বশস্ত্র দল এমরান চৌধুরীর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করে বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। যা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে। এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে যান। এমরান চৌধুরী তার পাওনা টাকা তো পেলোই না উল্টা আজাদের ভয়ে এখন এলাকা ছাড়া।গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী এমরান চৌধুরীর বোন লিলি আক্তার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, এমরান চৌধুরীর স্ত্রী সায়েলা বেগম ইস্পা, মা ছখিনা খাতুন, শ^াশুড়ি শওকত আরা বেগম, বোন পিংকি আক্তার, আলিসা চৌধুরীসহ অনেকে।তাদের দাবি, হামলা ও ভাঙচুরের সিসিটিভি ফুটেজসহ হালিশহর থানায় গেলে দীর্ঘসময় বসিয়ে রেখে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে অভিযোগপত্রটি ভুক্তভোগীদের দিকে ছুঁড়ে মেরে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন থানা পুলিশ।এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা আদালতে মামলা করা হয়নি কেন জানতে চাইলে অসহায় পরিবারটি জানান, আমাদের পরিবার এখন অনেকটা পুরুষ শূন্য। সন্ত্রাসী আজাদ গংদের ভয়ে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছি না। ঘর থেকে বের হলেই তার লোকেরা নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আপনারাসহযোগিতা করলে আমরা আদালতে মামলা দায়ের করব।অভিযোগপত্র ছুঁড়ে মারা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের থানায় এ ধরনের স্পর্দা দেখানোর প্রশিক্ষণ কাউকে দেওয়া হয় নাই। দিন তারিখটি সঠিকভাবে জানালে আমরা থানায় বসানো সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply