আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম পোর্ট এজেন্টস্ ষ্টিভিডোরস্ এন্ড কন্ট্রাক্টরস্ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন।

জাহিদ হোসেন
চট্টগ্রাম পোর্ট এজেন্টস্ ষ্টিভিডোরস্ এন্ড কন্ট্রাক্টরস্ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এর কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্তের হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ । রবিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত মানববন্ধনে বন্দর শ্রমিক নেতারা ওনাদের বক্তব্য বলেন বিগত দিনগুলি ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দোসরা সিন্ডিকেট করে চট্টগ্রাম বন্দরকে জিম্মি করে রেখেছে। তারা সঠিক আইডি কার্ড সম্বলিত বন্দর শ্রমিকদের বন্ধরের কোন কার্যক্রমের সাথে সম্প্রীক্ত না করে বাহিরাগত ভুয়া আইডি কার্ড সম্বলিত লোক এনে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করে, এ নিয়ে আমরা যদি প্রতিবাদ করতে যাই আমাদের শ্রমিকদেরকে নানান ধরনের মামলা হামলার হুমকি দেয়।
তাই আজ এর প্রতিবাদ করার সময় এসেছে এসব মাফিয়া এবং সিন্ডিকেট থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে মুক্ত করতে হবে, শ্রমিক নেতারা আরো বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরা রুপ পালটিয়ে এখন বিএনপি জামাতের নাম ভাঙ্গিয়ে নগরীর বন্দর থানা ফকির হাট এলাকায় অবস্থিত কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটায়। শ্রমিকদের পূর্বঘোষিত একটি মিটিংয়ে অতর্কিত ১৫ থেকে ১৬ জন লোক জোরপূর্বক ঢুকে হামলা চালায়। হামলায় দুর্বৃত্তরা শ্রমিক-কর্মচারীদের মারধরসহ চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও আসবাবপত্র লুটপাট করে। একটি কক্ষে ইউনিয়ন এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জিম্মি করে মূল্যবান কাগজপত্র ও নগদ টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়।রুপ পালটানো সুবিধাবাদী বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী লীগের নেতা খোঁড়া নাছের এর অনুসারী হাসান ওরফে রুবেল এ হামলার নেতৃত্ব দেন বলে ইউনিয়নের নেতারা জানান। খোঁড়া নাছের ও রুবেল এখন রুপ পাল্টাচ্ছে। তারা ফ্যাসিস্ট আমলে সুবিধাভোগী বন্দর লুটপাটকারী ও লীগ নেতাদের একান্ত দোসর । রাজনৈতিক দল পরিবর্তনের সুযোগে বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বন্দর সিবিএ ইউনিয়নগুলো দখলের পাঁয়তারা করছে এ মানুষ নামক অমানুষটা ।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ফেরদৌস আলম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহাজন, ও সেলিম খান। সকলের একটাই দাবী, একটাই চাওয়া, মাফিয়া ও সিন্ডিকেট মুক্ত বন্দর চাই শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার চাই। বন্দর ষ্টিভিডোরস্ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন এর কার্যকরী সভাপতি মোঃ রশিদ আহম্মদ বলেন, এটি আমাদের ঐতিহ্যবাহী অরাজনৈতিক সংগঠন, ১৯৬২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এ ধরনের জুলুম অত্যাচারের কখনোই সম্মুখীন হই নাই। আমরা শান্তিপ্রিয় স্টিভিডোরিং কর্মচারী হিসাবে যথেষ্ট পরিচিতি আছে। আমরা বিগত ১৫ বছর যাবত ফ্যাসিজমের অত্যাচার আর বৈষম্যের শিকার হয়েছি। এখন আবারও নতুন করে আমাদের ওপর জুলুমবাজদের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। খোঁড়া নাছের ও হাসান ওরফে রুবেল আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর। তারা এখন রুপ পালটিয়ে সাধারণ জনগণের দল বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিভিন্ন অপকর্ম তথা চাঁদাবাজি ও দখল দারিত্ব করে বেড়াচ্ছে।আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এ দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনআনুক ব্যাবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর