আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চসিকের উচ্ছেদ অভিযানে ৩ শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ

মোহাম্মদ মাসুদ চট্টগ্রাম 

চট্টগ্রাম নগরীর দখল মুক্ত ফুটপাত বাস্তবায়নে একের পর এক চলছে চসিকেকের উচ্ছেদ অভিযান। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বায়েজিদ এলাকায় চসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।এতে বিভিন্ন সড়ক থেকে তিন শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (৮নভেম্বর) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী এর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে নগরীর বায়েদিজ বোস্তামী থানাধীন বাংলাবাজার সড়ক,বায়েজিদ বোস্তামী মাজার গেইটের কাছাকাছি বাজার সড়ক, নাসিরাবাদশিল্প এলাকা সড়ক ও পলিটেকনিকেল মোড় এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় তিন শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ করে রাস্তা ও ফুটপাতের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করে সর্বসাধারনের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। অভিযানে অংশ নেন সিটি মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম।

অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, র‍্যাব-৭,বায়েজিদ থানা পুলিশ ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা প্রদান করেন।

উল্লেখ্যঃ বায়েজিদে বাজার সড়কে যেসব শতাধিক স্থায়ী অস্থায়ী স্থাপনা অবৈধ দোকানপাট ফুটপাতে গড়ে উঠা যা দীর্ঘ ৩০বছর আগের। যার পেছনে রয়েছে একশ্রেণীর অসাধু চক্র যারা অতি উচ্চদামে দখলসত্ব বিক্রি,অগ্রীম উচ্চহারে জামানত নিয়ে উচ্চদামে মাসিক দৈনিক ভাড়া সুবিধা আদায় করে থাকে। নাটকীয় চসিকের দখলমুক্ত ফুটপাত বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযানে স্থায়ী,অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখল মুক্ত ফুটপাত বাস্তবায়নে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী মাজার গেইট মেইন রোডে শতাধিক অস্থায়ী,ভাসমান অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু ভেঙ্গে দেওয়া স্থাপনার কাছাকাছি সত্বেও বাজার সড়কের শতাধিক স্থায়ী,অস্থায়ী অবৈধ দোকানপাট রহৎস্যজনক কারণে ভাঙ্গা হয়নি। বাস্তবে না ভেঙ্গে ১৫ দিন সময় দিয়ে নিজ দায়িত্বে সরিয়ে ফেলার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। তা আর কার্যকর করা হয়নি।কালক্ষেপণ করে ৩মাসের মাথায় আজ ভেঙ্গে দিলেও কিছু স্থাপনা ভাঙ্গা হয়নি এখনো।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারের দাবি আমরা ৩০ বছর ধরে দোকান করে কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করছি। সামান্য দোকানের উপরেই আমাদের রুটি রোজগার,ঘরসংসার,ছেলে মেয়ের লেখাপড়া,ভবিষ্যৎ সবকিছুই। উচ্ছেদে আজ সবই শেষ। বাঁচা মরা এক সমান।

ক্ষতিগ্রস্থের দাবি,ভেঙ্গে দিবে শুনছি।আমারা অসহায় নিরুপায় কোথায় যব? কিন্তু কখনো ভাঙ্গবে কখনো ভাঙ্গবে বলে গুজবের শেষ পর্যন্ত ভাঙ্গাই হল। কিন্তু না ভাঙ্গার ছলে কালক্ষেপন নাটকীয় কর্মকাণ্ডে আমাদের আজ হঠাৎ করেই ভেঙ্গে দিল।যা কোনভাবেই মানতে পারছি না।ভেঙ্গে দেওয়াই আমরা আর্থিক,মানসিক সর্বদিক দিয়ে অপূরণীয় ক্ষতিগ্রস্ত। আকষ্মিক উচ্ছেদে যা কোন ভাবেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। আমাদের পুনর্বাসন না করে এভাবে পেটে লাথি,যন্ত্রনা না দিয়ে একেবারেই মেরে ফেলাই ভালো ছিল। গরীবের কেউ নেই। রোহিঙ্গাদের জায়গা হলেও আমাদের হয় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মেয়রের প্রতি আকুল আবেদন। আমাদের পুনর্বাসন করা হোক।

তথামতে,সিংহভাগেই তথাকথিত দোকানদার দাবি করলেও তারা এসব দোকান নিয়ে করে বাণিজ্য,দোকান ভাড়া ও বিক্রি করে সুবিধাভোগীমাত্র।কথিত দোকানদার নামে শুধু অর্থআদায় সুবিধা পাওয়াই তাদের অপশক্তির কাছে সবাই যেন জিম্মি।ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনিধারার আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বৈধ অবৈধ পথে সবসময় তারা উপর মহলকে ভাগে বন্টনে ভাগিদার করে থাকে।সিন্ডিকেটে আর্থিক সুবিধা দিয়ে নিজেরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
তৃণমূল দোকানদাররা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে।এসব দোকান একাধিক হাত বদলে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় খেটে খাওয়া সাধারণ দোকানদাররা। এ-সব যারা দেখার তারা যেন কিছুই দেখে না। দেখলেও কাঠের চশমার আড়ালে কাল চশমার কাল টাকার গরমে থেকে যায়,আড়ালেই ধুম্রোজাল রহস্যের বেড়াজালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর