মোঃরুবেল (ফটিকছড়ি)
মহান প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সারা বিশ্বের মতো চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি হারুয়ালছড়ি বৌদ্ধ জেতবন বিহারে আজ সকাল ৯টা থেকে বুদ্ধপুজা ও সমবেত প্রার্থনা হয়,
প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পালিত একটি ধর্মীয় উৎসব যা আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নিকট এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব।আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়।বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত বোধিশ্রী ভিক্ষু উপস্থিত ধর্মপ্রাণ পূণ্যার্থীবৃন্দকে শীল ও ধর্ম দেশনা প্রদান করেন, বিহার কমিটির সভাপতি বাবু পরিতোষ বড়ুয়া, সহ-সভাপতি বাবু রনজিত বড়ুয়া, সহ-সভাপতি বাবু পবিত্র বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক বাবু রিপন বড়ুয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক বাবু প্রদীপ বড়ুয়া, হারুয়ালছড়ি বৌদ্ধ সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি বাবু কনক বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক বাবু রক্তিম বড়ুয়া সাগর এবং বিহার ও সমাজ পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, শীল মৈত্রী পরিষদ চট্টগ্রাম এর সভাপতি, ফটিকছড়ি উপজেলা সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়ন সুকান্ত বড়ুয়া বিপুল উপস্থিত পূণ্যার্থী সহ দেশবাসী সবাইকে মহান প্রবারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানিযে প্রবারণা তাৎপর্য ও বৌদ্ধিক জীবন বিঁধি আলোচনা করেন। সন্ধ্যা ৭.৩০ বিহার ও সমাজ পরিচালনা কমিটি এবং হারুয়ালছড়ি বৌদ্ধ সমাজ কল্যাণ সমিতি কতৃক আয়োজিত বিশ্ব শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা ও ফানুস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ছোট বড় সকলে এই ফানুস উড়িয়ে থাকেন। ফানুসের মধ্যে আগুন লাগিয়ে আকাশ দিকে চোটতে থাকে। আকাশ হয়ে যায় লালছে হিরের মত সাথে বিভিন্ন ধরনে বাজি ফুটানো হয়।
বিহার ও সমাজ পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, শীল মৈত্রী পরিষদ চট্টগ্রাম এর সভাপতি, ফটিকছড়ি উপজেলা সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়ন সুকান্ত বড়ুয়া বিপুল ‘চট্টগ্রাম কণ্ঠ’ প্রতিনিধিকে বলেন। আমাদের এই প্রবারণা অনুষ্ঠান সৌন্দর্য হচ্ছে ফানুস উড়ানো। ফানুসে থাকা আগুন কোন ক্ষতি হবে না বলেন।তিনি বলেন ফানুস যত উপরে উঠবে ধীরে ধীরে আগুন নিবে যাবে।
Leave a Reply