আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরে ৭বছরের শিশু’কে রহৎসজনক হত্যা ধর্ষণের আলামত


মোহাম্মদ মাসুদ :চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে ৭বছর শিশু সূরমা’র মরদেহ উদ্ধার। শিশু’কে রহৎসজনক হত্যার জেরে ধর্ষণের আলামত।ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যা।নিখোজ পিতামাতা তার নিখোজ শিশু সন্তানকে হারিয়ে একদিন পরে পেলেন। লোমহর্ষক কায়দায় সন্তানের মৃত লাশ।তাও বাবার কাঁদে সন্তানের মৃত লাশ। বাবা হত দরিদ্র রিকশাচালক।

আজ রবিবার (১৮সেপ্টম্বর)সকালে
বন্দর থানাধীন,বন্দরের আউতায়,পোটকলোনীর সামনে,বন্দরের নিজস্ব পরিত্যক্ত ভবনে,প্রাইমারী স্কুলের পাশে স্কুলের ছাত্ররা প্রথমে মরদেহ দেখতে পাই।পরে পুলিশ শিশু সূরমার মরদেহ উদ্ধার করে।

জানা যায়,সূরমা ভিক্ষা করতো।তার পিতা-কাউসার(৩৫)
একজন হতদারিদ্র রিক্সাচাক। হালিশহর রড়পুল এলাকা বসবাসকারী যেখান থেকে ঘটনাস্থল কয়েক কিলোমিটার দূরে বন্দর থানাধীন বন্দরের আউতাধীন পোটকলোনীর সামনে প্রাইমারী স্কুলের পাশে স্কুলের ছাত্ররা প্রথমে মরদেহ দেখতে পাই।পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, গতকাল থেকে তার পরিবার মেয়ে সুরমা’কে পাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি মাইকিং করেও তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীরা জানান,এ পরিত্যক্ত ভবনে অপরাধীদের অভয়ারণ্য প্রণীত হয়,বিভিন্ন অপরাধ ও বখাটেরা নানা ধররের অপরাধ অপকর্ম মাদকসহ সেবনসহ বখাটেরা আড্ডা দেয়।

নিহত শিশু সুরমা ভিক্ষা করতো,বেঁচে থাকার প্রয়োজনে ভিক্ষার একপর্যায়ে কোন এক রিক্সচালক বিরানীর প্রলোভনে দেখিয়ে রিক্সায় তুলে নেয়। যাওয়ার সময় তার সাথে আরো বেশকিছু বাচ্চা ও পতক্ষ্যদর্শী যারা দেখেছিল ছিল।তাদের কথা ও তথ্য আলামতে পুলিশ ও পরিবার ধরাণা ও প্রাথমিকভাবে দাবি করছে বিরানীর প্রলোভন দেখিয়েই হয়তো সুরমাকে নিয়ে যায়।সেই সময় পর থেকেই অনেক খোজাখুজি করে,মাইকিং করেও পাওয়া যায় নি।পরেরদিন তার বাবা ও মা পরে এসে তাদের সন্তান বলে সনাক্ত করে।তাকে কেউ হয়তো ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপ-পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম শাহেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে নিশ্চিত করেন।

বন্দর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল তথ্য সংগ্রহ করে রিপোর্ট প্রস্তুতি করে।শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত ধারণা করা হচ্ছে।তবে ধর্ষণের শিকার বিষয়টি ফরেনসিক রিপোর্ট তদন্ত ও ময়নাতদন্তের পর পুরাপুরি সত্য ঘটনার কারণ আড়ালে লুকিয়ে থাকার বা মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা ফরেনসিক তদন্তের সকল আলামত তথ্য সংগ্রহ করে। তদন্ত শেষে ধর্ষণ হত্যাসহ অপরাধীর বিভিন্ন আলামত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পরিত্যক্ত এ ভবনটি দীঘদিন ধরেই ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা চালালেও ভাঙ্গা হয়নি। নিরিবিলি হওয়ায় একের পর এক অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এই পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙে ফেলার দাবি।এবং শিশু হত্যার কারণ,রহৎস দ্রুত উৎঘাটন করে আইনের আউতায় এনে অপরীধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি পরিবার ও সধারণ জনগনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর