আজ ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গণমাধ্যমে ভুল তথ্য নির্ভর সংবাদ প্রচার এবং কুৎসা রটানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল কালাম।

চট্টগ্রাম কণ্ঠ : ডেস্ক

গণমাধ্যমে ভুল তথ্য নির্ভর সংবাদ প্রচার ও সত্য ঘটনা উদঘাটন করে সত্য সংবাদ প্রচারের দাবি এবং মিথ্যে বানোয়াট অসত্য কুৎসা রটানোর প্রতিবাদ ও অতিথি কর্মজিবি সমবায় লিমিটেডের স্বঘোষিত সভাপতি দুই থানার
ক্যাসিয়ার হিসেবে পরিচিত হঠাৎ আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া ও গত ১০ / ০২ / ২০২২ ইং অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী ১নং চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, টক প্রতারক অর্থলোভী , দুর্নীতিবাজ সমিতির অর্থ আত্মসাৎ কারী ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার বাদী মোহাম্মদ অলি উদ্দিনের বেআইনি কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনির নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করছে একই সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল কালাম।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কালাম অসুস্থ থাকায় আবদুল কালামের উপস্থিতিতে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কালাম অভিযোগ করেন কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি সংবাদ আমার দৃষ্টি গোচর হয় । সেখানে  আমার বিরুদ্ধে প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যে অসত্য মানহানিকর ও ভুল তথ্য নির্ভর। প্রকৃত ঘটনা হল গত ১৪/০৫/২০১৭ তারিখে চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কার্যালয় হইতে ০০০০০০০১২৭৩৪ নাম্বারে অতিথি কর্মজীবী সমবায় সমিতির নামে নিবন্ধন লাভ করি।

নিবন্ধন পাওয়ার পর ডবলমুরিং থানাদিন শেখ মুজিব রোডস্থ জাকির বিল্ডিং এর তৃতীয় তলায়
সমিতির কার্যালয় থেকে কর্মকাণ্ড পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এরপর থেকে গত ০১/০৮/২০১৮ ইংরেজি সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছি।২০০১ সালে ১৮(৩) এর ধারা মোতাবেক ৬ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয় এবং ২০ জনকে শেয়ার হোল্ডার হিসেবে জনপ্রতি ১০০০ টাকা করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ছয় সদস্য  পরিচালনা কমিটিতে মোহাম্মদ অলি উদ্দিনকে সভাপতি, মোহাম্মদ উল্লাহ কে সহ-সভাপতি,মোহাম্মদ আবদুল কালাম কে সাধারণ সম্পাদক,মোঃ ফজলুল হককে অর্থ সম্পাদক, অলির শ্যালক মোহাম্মদ শাহজাহানকে সদস্য, অলির স্ত্রী মোসাম্মৎ জেসমিন আক্তার কে সদস্য করা হয়।

এরপর অতিথি কর্মজীবী সমবায় সমিতির কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমার অগোচরে সমিতির টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে সভাপতি অলির স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও মুহাম্মদ খলিলুর রহমান নামের দুজনকে ভুয়া সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে মাঠ পর্যায়ের টাকা সংগ্রহ করে তাহা আত্মসাৎ করতে থাকেন।

সভাপতি অলির টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানার পর অলির মনোনীত সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সরকারি স্ট্যাম্পে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামা দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করিয়া সমিতি ত্যাগ করেন, তার পরবর্তীতে সভাপতি অলি উদ্দিন ও তার আরেক মনোনীত সাধারণ সম্পাদক অলির স্ত্রী জেসমিন আক্তার এর যোগসাজশে সমিতির নামে নতুন সঞ্চয়ী হিসেবের পাস বই বানিয়ে চলমান অনুমোদিত কমিটির অবর্তমানে বেআইনিভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হইতে টাকা সংগ্রহ করেন এবং তাহা আত্মসাৎ করেন।

তার ঐ বেআইনি কর্মকাণ্ড নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা সমবায় অফিসার ডবলমুরিং থানা এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিত আকারে জানাই এবং সমবায় কর্মকর্তা চিঠি দিয়ে ও মোবাইলে সভাপতি অলি সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে তাহাকে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু সভাপতি অলি নোটিস এর কোন জবাব না দিয়ে এবং নোটিশের বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও অর্থ সম্পাদক মোঃ ফজলুল হককে সন্ত্রাসীধারা হামলা এবং দেখে নেওয়া ও মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করেন।

তারপর অলি উদ্দিনের বেআইনি কর্মকাণ্ড, সমিতির অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ায় গত ২৪/১২/২০১৯ ইংরেজি বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চট্টগ্রাম সি আর মামলা নং ৩০৯০/২০১৯  ইংরেজি কোতোয়ালি দায়ের করি। আমি মামলা করায় ২৫ দিন পর সভাপতি অলি উদ্দিন তার পরিবারের ৩ জনকে বাদ দিয়ে সমিতির বাকি তিন জনের নামে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।সি আর মামলা নং ১১১/২০২০ উক্ত মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।

তিনি আরো বলেন অনুমোদিত কমিটির অগচরে সভাপতি অলি উদ্দিন টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে নতুন করে ভুয়া সদস্য করে
যেখানে সমিতির ২৬৩ জন মূল সদস্য কেউই নেই। তাই সমিতির মোট দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মৌখিক সম্মতি সাপেক্ষে ০৯/০৩/২০১৯ ইংরেজি সমিতির চলমান কার্যক্রম স্থগিত করা হয় ও সমিতির যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সভাপতি অলি উদ্দিন নিজ হেফাজতে রেখে দেন।

অলি উদ্দিন নিজে বিভিন্ন সময়ে বেআইনিভাবে আধিপত্য বিস্তার করে সমিতি থেকে ঋণ গ্রহণ করে যাহা অদ্যবধি এখনো ফেরত দেয়নি, যেখানে সরকারি অডিট অনুযায়ী সমিতির বার্ষিক আয় ১৪০,০০০/হাজার টাকা হিসাব করে দেওয়া হয়েছে সেখানে তিন মাসে ১০০ সদস্যের ২১ থেকে ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাত কিভাবে হয় তা আমার বোধগম্য নয়। সমাজের বিবেক হিসেবে সাংবাদিকদের সত্য ঘটনা তুলে ধরার অনুরোধ জানান।

গণমাধ্যমে প্রচারিত অফিস তালা মেরে মালামাল নিয়ে আত্মসাৎ করার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। এটার প্রকৃত ঘটনা হলো সমিতির অফিসে সভাপতি অলি উদ্দিনের নেতৃত্বে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় ঘরের মালিক অলি উদ্দিন কে অফিস ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দেয়, অলি উদ্দিন অফিস ছাড়তে অপারগতা প্রকাশ করিলে ঘরের মালিক মোঃ জাকির হোসেন ডবলমুরিং থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন যার জিডি নং ১১০০।

পরবর্তীতে ঘরের মালিক জাকির হোসেন সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে সকল প্রকার মালামাল তালিকা করে আমাদের বুঝিয়ে দেন এবং উক্ত মালামালের বিষয় সভাপতিকে অবগত করলে তিনি আমাদের কোন প্রকার সহযোগিতা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। উক্ত মালামাল রাখার মত কোন স্থানের ব্যবস্থা করতে না পারায় মালামালগুলো ৩৫০০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে বিক্রি করে সমিতির নিকট পাওনা সদস্যদের টাকা পরিশোধ ও অফিস স্টাফদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয় যা আমার কাছে রশিদ আকারে প্রমাণাদি রয়েছে এবং তা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। বর্তমানে সমিতির কোন সদস্যই টাকা পাওনা নায় এবং বিগত তিন বছরে কোনো সদস্য টাকা পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে আমার কিংবা সমিতির কারো কাছে কোন রকম অভিযোগ নিয়ে আসেনি।

তাই তিনি সাংবাদিকদের মত সম্মানিত বিবেকবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন উপরে উল্লেখিত বিষয় পর্যালোচনা করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে আমার বিরুদ্ধে উপস্থাপিত তথ্য এবং প্রচারিত সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

আরেকটি বিষয় আপনাদের জানাতে চাই একজন ব্যক্তি কোন ব্যবসা-বাণিজ্য না করে, চাকরি না করে,কি করে, কিভাবে কোন পথে একটি নোহা কে আর ৪২ চট্টমেট্রো ১১-১৭৩০: ম্যাক্সিমা চট্টমেট্রো ১১-২৯৩৮: ১১-২৯৩৯ গাড়ি এবং ইউনিয়ন পরিষদে বিশাল অংকের টাকা খরচ করতে পারে সেই কথিত পুলিশের সোর্স এবং ২ থানার কেশিয়ার অলি উদ্দিনের আয় বহির্ভূত অর্থের সঠিক তথ্য উন্মোচিত করার অনুরোধ রাখলাম আপনাদের কাছে।

  উল্লেখিত বিষয়গুলো সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উন্মোচিত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং কথিত পুলিশের সোর্স ও দুই থানার ক্যাশিয়ার নামে পরিচিত অলি উদ্দিনের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা করা সহ দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সত্য ঘটনা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য তিনি  সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য প্রিন্ট মিডিয়া,ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া সহ সকল সাংবাদিকগণ কে ব্যক্তিগত ও অতিথি কর্মজীবী সমবায় লিমিটেডের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সেইসাথে প্রকৃত ঘটনার তদন্ত করে অপরাধে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর