মোহাম্মদ মাসুদ (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রাম জেলা বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে আনোয়ারা উপজেলার ভোটারদের -সমর্থকদের ভযভীতি সক্রিয় উপস্থিতি নিয়ে প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে পড়ে।একে অপরের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বাধা অসৎ উদ্দেশ্য জালভোটসহ ও কেন্দ্র দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলেন একাধিক বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) যথাসময়ে ভোটগ্রহরে মাধ্যমে বিরতিহীন বিকাল ৪টা পর্যন্ত
ভোট গ্রহণ চলে। তবে নারী ভোটারের তুলনায় পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক অনেক কম কোন কোন কেন্দ্রে অর্ধেকেরও কম।
সরেজমিনে কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণে দেখা যায় একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটারদের -সমর্থকদের ভযভীতি প্রদানসহ আক্রমণের অভিযোগ তোলেন। ভোটারদের নিরাপত্তা স্বাধীনতা, সক্রিয় উপস্থিতি নিয়ে প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এছাড়াও অসৎ উদ্দেশ্য জালভোটসহ জোরপূর্বক কেন্দ্র দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান।
আনোয়ারা ৬নং বারখাইন ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী দুুই পক্ষের মাঝে ভোটের আগে ও ভোটের দিনও অস্রসহ গোলাগুলীর সত্যতা পাওয়া যায়।
যা কিনা অত্র কেন্দ্র ইনচার্জ সকাল বেলা আমাদের পূর্ব সংকেত প্রদান করে এবং সাংবাদিকদের সব রকম সহযোগীতা কামনা করে। অস্রসহ গোলাগুলীর ঘটনা ঘঠে দুপুর ২টার পর থেকে এতে কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট কর্ম-কর্তকর্তা পার্থী এজেন্ট ভোটারসহ এলাকাব্সীর মধ্যে ব্যাপক ভয় আতংক বিরাজ করে আকষ্মিক ভাবে ভোট গ্রহণবন্দ ও কেন্দ্র ভোটারশূন্য হয়ে পড়ে।ঐ মূহুর্তে কেন্দ্র ইনচার্জ এস আই জুয়েল মিয়ার সাহস চৌকস নেতৃত্ব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনে।
পরে ঘটনাস্থলে বিজিবির স্ট্রাইকিং টিম এসে যোগ দেয় অত্র বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রে ও আশপাশের পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনে ও দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার অবস্থান করে ভোট গনণা থেকে শুরু করে ঘোষণা ও লিখিত কপি সহ সকলের উদ্দেশ্যে নোটিশ আকারে লাগিয়ে নিরাপদে সকলকে নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করে।
তবে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীনা আক্তার আমাদের জানান,এ পর্যন্ত কোন কেন্দ্রের ভিতরে কোন প্রকার সংঘর্ষ বা সহিতংসতার মারামারী অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিগে বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশ থেকে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তিনটি ছোরা, শতাধিক লাঠি, রাম দা ও ১৪টি হেলমেট দেশিও অস্ত্র ও লাঠি উদ্ধার করেছে র্যাব। তবে এ সময় কাউকে আটক করা যায় নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) তাহিয়া আহমেদ চৌধুরী জানান,কেন্দ্রে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে এসব মজুদ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়াও ৫নং বরুমচড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে ষংঘর্ষ ও গোলাগুলী ৭নং ওয়ার্ডে অনিয়মে অভিযো উঠে। এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডেও ব্যাপক অভিযোগ করে একে অপরের বিরোদ্ধে।
একাধিক অভিযোগকারী পার্থীদের নানা অনয়িম প্রসংঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক কেন্দ্র ইনচার্জ ও প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে জানতে চাইলে- তারা জানান কেন্দ্রের ভিতরে ও ভোট গ্রহণে কোন প্রকার অনিয়ম বা অরাজকতা সহিংসতা হয়নি বলে সংবাদ কর্মীকে জানান।
তবে,অভিযোগকারী পার্থীদের পোলিং এজেন্টরা অনিয়ম প্রসংঙ্গে অনেকেই একমত প্রকাশ করে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ তোলে।
অন্যদিগে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় চাতরী ইউনিয়নের সিংহরা গ্রামে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে অংকুর দত্ত (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম শিকদার। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১১টায় চাতরীর সিংহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রায় কয়েক’শ গজ দূরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অংকুর দত্ত নামের এক যুবক আহত হয়। পরে তাকে উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইসি-আইনশৃঙ্খলা প্রসংঙ্গে জানায়,ইতোমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ,আনসারের সমন্বয়ে২২জনের ফোর্স নিয়োজিত ।
এছাড়াও,ভোটের এলাকায় পুলিশ,আনসার ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের একটি করে টিম,মোবাইল ফোর্স হিসেবে এবং প্রতি ইউপির জন্য একটি করে টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে।
অন্যদিকে প্রতি উপজেলায় র্যাবের দুটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং টিম মোতায়েন রয়েছে। বিজিবির মোবাইল টিম রয়েছে দুই প্লাটুন ও এক প্লাটুন সদস্য নিয়োজিত আছে স্ট্রাইকিং টিম হিসেবে। একই হারে কোস্ট গার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে। আর প্রতি ইউপিতে অন্তত একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি নিশ্চিতের দায়িত্বে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত সাত ধাপে ইউপি ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। বুধবার পঞ্চমধাপে ৭০৮টি ইউপির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইতোমধ্যেই ভোটগ্রহণের পঞ্চমধাপে ইউপিতে ইতিবাচকের পাশাপাশি অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট প্রসংঙ্গে ণীতিবাচক প্রশ্ন উঠে।নিরাপত্তায় ও সুষ্ঠ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন নিয়ে রয়েছে একোধিক অভিযোগ ও শঙ্কা যা কিনা চট্রগ্রাম জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায়।
আনোয়ারা ইউপি নির্বাচনে একাধিক সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন কেন্দ্রে তথ্য সংগ্রহে বাধা বিঘ্নতাসহ হুমকীদামকির স্বীকার হয়।
ভোট চলাকালিন দলীয়প্রার্থী সাংবাদিকদেরকে আনোয়ারা ছেড়ে চলে যেতে বলে,খুব দুঃখ জনক. একজন দলীয় প্রার্থী এভাবে বলতে পারে কি না. তা আপনাদের কাছে প্রশ্ন রইলো?
স্বাধীন দেশে গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা যখন অনুসন্ধান করে দেশ ও জাতির সামনে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে তখনই অসৎ ব্যক্তিরা গণমাধ্যমের উপর
কণ্ঠরোধ করতে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বারবার বর্বরোচিত হামলা চালায়। তবে বিশিষ্টজনদের মতামত যারা এই কাজ করছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। এবিষয়ে সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
Leave a Reply