চট্টগ্রাম কণ্ঠ : ডেস্ক
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যারের অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম স্যারের সার্বিক সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় কর্তৃক আজ ১৫ নভেম্বর ২০২১ প্রবর্তক মোড়, বিপ্লব উদ্যান, চিটাগং শপিং ও কাজীর দেউড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সকাল ১১:০০টা হতে পরিচালিত অভিযানে ৭ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার টাকা) প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্ক, রং, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও বাসি খাবার ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি একটি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এর সহায়তায় উপর্যুক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) জনাব পাপীয়া সুলতানা লীজা, ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
পাঁচলাইশ থানার অধীন বিপ্লব উদ্যানে অবস্থিত ফুড হাটকে পঁচা-বাসি খাবার ফ্রিজে বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ৬ হাজার জরিমানা করা হয়।
ফুড ম্যাক্সাকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে খাবার বিক্রয় করায় জনৈক ভোক্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
একই প্রতিষ্ঠানকে ফ্রিজে বাসি খাবার সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিল্ক এন্ড টি রেস্টুরেন্টকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যেপকরণ ব্যবহার ও খাদ্যে অননুমোদিত রং ব্যবহার করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বায়েজিদ বোস্তামি রোডের আলী স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রবর্তক মোড়ের ক্যাফে সুফিয়া রেস্টুরেন্টকে রান্না করা খাবার অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ করায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নাসিরাবাদ এলাকার মা জেনারেল ষ্টোরকে বিক্রয় নিষিদ্ধ এনার্জি ড্রিঙ্ক বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়।
ফয়সাল মেডিকোকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।