২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউসিং সোসাইটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

প্রকাশিত হয়েছে-

চট্টগ্রাম রিপোর্টার: মোহাম্মদ মাসুদ


চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ বনেদী জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত দি চিটাগাং কো- অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির লিমিটেড এর ব্যবস্হাপনা কমিটির নির্বাচন- ২০২১ ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯:০০ ঘটিকা হতে বিকাল ৪:০০ ঘটিকা পর্যন্ত সোসাইটির ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন-২০২১ এর ভোট গ্রহণ চলে অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (রোড নং- ০২, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি, চট্টগ্রাম ।
এতে ভিন্ন ভিন্ন পদে সর্বমোট ২৫ জন পদপ্রার্থী অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণ কারীদের মধ্যে ৩ জনের প্রার্থীতা বাতিল করে কমিশন ও ১ জন নিজ ইচ্ছায় প্রত্যাহার করে।বাকীরা হলেন সেক্রেটারী পদপ্রাথী ২জন ও সদস্য পদে ১৭ জন অংশগ্রহন করে।
নির্বাচন পরিচালনা দায়িত্বে ছিলেন তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিটি। উক্ত কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন থানা সমবায় অফিসার,পাঁচলাইশ শহিদুল ইসলাম, সুমিত কুমার দত্ত সদস্য, থানা সমবায় অফিসার ডবমুরিং,বিপ্লব চক্রবর্তী সদস্য, সমবায় অফিসার সহকারী পরিদর্শক।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অধীনে নিবার্চনের ভোট গ্রহনে সার্বিক সহযোগিতায় আরো ছিলেন সমবায় কার্যালয় কর্মকর্তাবৃন্দ ৪৫ জন পোলিং অফিসার ১৫টি বুথে
ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীদের ১৫জন পোলং এজেন্ট সহ পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট আরো অনেকই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন- যতাসময়ে ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে এবং বিরতিহীন ভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে। নির্বাচনে কোনো অনিয়ম স্বজনপ্রীতি সুযোগ নেই। কঠোর নিরাপত্তায় শান্তীপূর্ণভাবে আইন অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে।কমিশন শতভাগ নিরপেক্ষ ও স্বাধীন। শতভাগ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য পরিপূর্ণ একটি নির্বাচনের দিগে এগিয়ে যাচ্ছে।
নির্বাচনের শৃঙ্খলার স্বার্থে উপস্থিত ছিলেনা অত্র সোসাইটির গুরুত্বপূর্ণ বরেণ্য পদে টানা ৯বছর দায়িত্বপালনকারী সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন।তিনি বলেন স্বতস্ফুর্ত নিরপেক্ষ পরিছন্ন সুন্দর একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হতে যাচ্ছে।যা নগরবাসীর জন্য ঐতিহাসিক স্বরণীয় হয়ে থাকবে। এবং নির্বাচনী পরিবেশ শতভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ।অবিযোগ অনিয়ম প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন- যারা নিবার্চনের বিরুদ্ধে বলে তারা শুরু থেকে বলে আসছে।
জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন- উৎসমুখর পরিবেশে নিবার্চন পরিচালিত হচ্ছে। নিরপেক্ষ পরিছন্ন সুন্দর একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হতে যাচ্ছে্। যা ভোটারদের কাম্য। উপস্থিত ভোটার এবং প্রার্থীদের দাবী কোন অনিয়ম হচ্ছে না নিবার্চন অবাধ অত্যান্ত সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ উৎসব মূখর হচ্ছে।
জানা যায় উল্লেখযোগ্য পদের মধ্যে শীর্ষ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়।যার বীপরীতে যা কিনা ভোটার এবং অংশগ্রহণ না করা প্রার্থীর পক্ষ হতে অভিযোগ রয়েছে একাধীক ।যা নাকি নির্বাচনের শুরু থেকে এবং বর্তমানেও অংশগ্রহণকারীর পদপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এখনো রয়েছে।
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩জন প্রার্থী হলো, সভাপতি এ এ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রিছ,কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ সাজ্জাদ,
বাকি১৭জন সদস্য প্রার্থীরা হলেন হাতি মার্কা এ আর এম শামীম উদ্দিন,রিক্সা মার্কা মামা নূরুল ইসলাম,বটগাছ মার্কা, আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দিন আলম,খেজুর গাছ মার্কা, মোহাম্মাদ রাশেদুল আমিন, উড়োজাহাজ মার্কা, রাইসুল উদ্দিন সৈকত,চাকা মার্কা,মোহাম্মদ জসিমুল আনোয়ার খান,মিনার মার্কা মোরশেদ আহমেদ, কম্পিউটার মার্কা,এমদাদুল আজিজ চৌধুরী,ঘুরি মার্কা মোঃ ইফতেখারুল চৌদুরী,ডাকমার্কা,প্রকৌশলী জাহিদ আনসার চৌধুরী, হরিণ মার্কা,অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, তলোয়ার মার্কা,আলহাজ্ব দ্বীন মোহাম্মদ চৌধুরী,সাইকেল মার্কা মোঃ নজরুল ইসলাম রুপক,ক্রিকেট ব্যাট মার্কা, চৌধুরী মোহাম্মদ মাহাতাব উদ্দীন,বাস মার্কা, চৌধুরী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আকবর, কবুতর মার্কা,সাইফুদ্দিন আহমদ সাকী,প্রজাপতি মার্কা,এডভোকেট কাজী মোহাম্মদ আশরাফুল হক আনসারী।
প্রসঙ্গতঃ- অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনটি গত ছ’মাস আগে হওয়ার কথা ছিল আইনী জটিলতা ও কোভিটের কারণে পিছিয়েছে। আজকের অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অংগ্রহন না করা ভোটার এবং পদপ্রার্থীদের একাধিক ব্যক্তিদের দাবি উঠেছে এটি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন। অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক মৃত ভোটার হালনাগাদ না করে, অবৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন না করে, প্রার্থিতা বাতিলসহ আরো অনেক দাবি তুলে।
তবে মাঠে ও কেন্দ্রে সাইফুদ্দিন-ইদ্রিস-আলমগীর পরিষদের কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সরব ও জোরালো।
আজকে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে অনিয়ম অভিযোগ প্রসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি আদালতের দ্বারস্থ হন। যা আজ স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে উক্ত নির্বাচন বয়কট করেছেন দাবি করে আপত্তিও জানায়। তাদের দাবি নির্বাচনটি কোভিটের কারণে স্থগিত ছিল নির্বাচনের দিন তারিখ কৌশলগত কারণে গোপন করা হয়েছে।
তাদের কেউ কেউ দাবি করছেন ১দিন আগে। কেউ কেউ দাবি করছেন ২দিন আগে জানানো হয়েছে। যা কিনা যেদিন নির্বাচন সেদিনও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে আজ নির্বাচন।যা ব্যাপক ভোটার ও প্রার্থীকে বিষ্মিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এ বিষয়ে প্রধান কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেন- দিন তারিখ জানানো আইনী প্রকৃয়ায় পড়ে না সবরকম আইনের নিয়মকানুন মেনেই নির্বাচন হয়েছে। আমার জানামতে কোন অনিয়ম নেই।বিষয়টি পরিচালনা কমিটি ভালো জানেন। একাধিক প্রার্থীদের কাছে জানতে চাইলে বলেন সব রকম নিয়ম মেনেই নির্বাচন আজ হতে চলেছে। কোনপ্রকার অনিয়ম হচেছ না আর অনিয়ম করার সুযোগও নেই।বিষয়টি নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে।