চট্টগ্রাম রিপোর্টার : মোহাম্মদ মাসুদ
গনসংগীত শিল্পী,বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর,কবি ও সাংবাদিক অরুণ দাশ গুপ্ত,শহীদ পরিবারের সন্তান প্রফেসর ড.গাজী সালাউদ্দীন কে নিবিদিত করে স্মরণাঞ্জলী অনুষ্ঠান আয়োজন করে ।
আজ বিকাল ৪টায়,চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব,আলহাজ্ব সুলতান আহমদ মিলানায়তন উক্তসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা ফাউন্ডেশন উদ্যেগে বিজয় ৭১ এর সহযোগিতায় উক্ত আনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সভায় দেশবরেণ্য দেশবিদেশ ও আন্তজাতিক অঙ্গনেও পরিচিত তিন গুণীজনের স্মরণীয় স্মরণ সভায় দেশপ্রেমিক সূর্য সন্তান,কিংবদন্তি আলোচিত ব্যাক্তিত্ব
ফকির আলমগীর-গাজী সালাউদ্দীনের অরুণ দাশগুপ্ত-স্মরণানুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া বলেন বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মের সৃজনশীলতা বিকাশে ও আলোকিত জীবন গঠনে মহান স্বাধীনতা চেতনায় লালন ও ধারনকৃত এই তিন গুণীদের আদর্শ অনুসরণ-অনুকরন স্বরণীয়।এবং অপরিহার্য সম্মানীয় ও কৃতি ব্যক্তিদের সম্মান দেয়া একটি সামজিক কর্তব্য ও দায়িত্ব।
সেটি জীবদ্দশায় হোক অথবা মৃত্যুর পরে হোক। প্রতিথযশা কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক সর্বজনশ্রদ্ধেয় অরুণ দাশগুপ্ত, সংগীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ফকির আলমগীর,সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড.গাজী সালাহউদ্দিনের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদানে আমাদের দেশ, সংস্কৃতি,সাহিত্য ভাবনা সমৃদ্ধ হয়েছে।
বর্তমান ও ভবিষ্যতেও এটা আমাদের সকলকে নিঃসন্দেহে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করতে হবে। সাংবাদিকতায়,সাহিত্যে,সংগীত চর্চায় অরুণ দাশগুপ্তের অবদান অনস্বীকার্য। অরুণ দাশগুপ্ত’র জীবনমুখী ইতিবাচক ভূমিকা আগামী দিনে প্রজন্মকে জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করার প্রয়াসে প্রভূতভাবে আন্দোলিত করবে এটি দিবালোকের মত সত্য।
একজন মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে প্রফেসর ড.গাজী সালেহ উদ্দীন শিক্ষাক্ষেত্রে,সামাজিক ক্ষেত্রে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শানিত করার ক্ষেত্রে যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তা আগামী প্রজন্ম অবশ্যই স্মরণ রাখবে।
উদ্ভাসিত আলোকিত সংগীত ব্যক্তিত্ব ফকির আলমগীর লোকসংগীত জগতে অনন্যসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে সংগীত পিপাসুদের উৎসাহিত করে আমাদের সমাজে সর্বস্তরের বর্বমতের জনগণকে।তারা আজ না থাকলেও তাদের কর্মই তাদের বাচিয়ে রাখবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।তাঁরা আমাদের শোকসাগরে ভাসিয়ে দিয়ে অকালে চলে যাওয়াতে সংগীত বিশ্বে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা আমরা কালে কালে উপলব্ধি করছি।
অদ্য ৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং বিজয়’৭১ এর সহযোগীতায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সুলতান আহমেদ মিলনায়তনে ফকির আলমগীর-অরুণ দাশগুপ্ত-ড. গাজী সালেহ উদ্দীন’র স্মরণে আয়োজিত শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী, একুশে পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়া উক্ত কথাগুলো বলেন।
মফিজুর রহমান বলেন, কৃতি ব্যক্তিবর্গের অকাল প্রয়াণে সমাজ যে ক্ষতির সম্মুখীন হয় তা পূরণ করতে তাদের সেই ত্যাগের আদর্শ,মানবতার আদর্শকে প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে।
দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কো চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল মিত্র, প্রফেসর সুকান্ত ভট্টাচার্য, ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও নাট্যজল সজল কান্তি চৌধুরী, সংগঠনের মহাসচিব লায়ন ডা: আর.কে রুবেল, এড.বাসন্তী প্রভা পালিত, লায়ন এ.কে জাহেদ চৌধুরী,
জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উত্তম কুমার আচার্য্য, মৃণাল কান্তি দাস, শ্যামল মিত্র, বিশ্বজিৎ বড়–য়া, মৃদুল কান্তি বড়–য়া, শিক্ষিকা নীলা বোষ, নুরুজ্জামান চৌধুরী, মোঃ বেলাল হোসেন উদয়ন, মো. সেলিম, হামিদা কাওসার, কুমত্তা দাস, শেলী বড়–য়া, সাংবাদিক হারুন রশিদ, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, মো. জুবাইর, নিজাম, সুমন সেন, অলিউল্লাহ,মোহাম্মদ মাসুদ, প্রিয়তোষ বড়–য়া, ডা: এস.কে পাল সুজন, ভিপি উত্তম কুমার দে, ডা: মামুনুর রশিদ, কানু দাস, ডা: অপূর্ব ধর, মোঃ আনিস আহমেদ খোকন, এসএম কামরুজ্জামান, প্রীতিশ রঞ্জন বড়–য়া, স্বদেশ চৌধুরী, সজাগ বড়–য়া প্রমুখ।