২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালতে মামলার জট, জনসমাগমে ভরপুর আদালত পাড়া, বেড়েছে সংক্রমণের হার।

প্রকাশিত হয়েছে-

চট্টগ্রাম রিপোর্টার : হুমায়ুন কবির হিরু

দিলওয়ারা বেগম গত লকডাউনের আগে একটি পারিবারিক মামলা করেছিলেন চট্টগ্রাম আদালতে। কিন্তু লকডাউনের কারনে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মামলাটি আর আগায়নি।

তাই লকডাউনের পর আবারো আইনজীবীর কাছে ছুটে এসেছেন তিনি। কিন্তু লকডাউনের কারণে মামলার জটে ভারাক্রান্ত আদালত। ফলে তার মামলা কবে আদালতে উঠবে জানেয় না তিনি। শুধু তিনিই নন, চট্টগ্রাম আদালতে বিভিন্ন মামলার কাজে আসা বেশিরভাগ মানুষই মামলা জটের ভোগান্তিতে পড়ছেন। তিনি বলেন আদালতে আসলে বিভিন্ন রকম ঝামেলা পোহাতে হয়, তাই আদালতের কাছে দ্রুত আইনের সহযোগিতা কামনা করছেন।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, মামলা জটের কারণে অনেকেই পাচ্ছেন না কাঙ্খিত জামিন। ফলে দীর্ঘদিন থাকতে হচ্ছে কারাগারে।তাই তাদের আত্মীয় স্বজনরা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন। এছাড়া অর্থঋণ সংশ্লিষ্ট অনেক মামলাও দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানও পড়ছে বিভিন্ন ভোগান্তিতে। যদি দ্রুততম সময়ে আদালতে সেবা সাধারণ মানুষকে দেয়া যায় তাহলে মানুষ উপকৃত হবে এবং আদালতে মামলার জট কমবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডভোকেট এ এম জিয়া হাবীব আহসান বলেন, শুধু লকডাউন নয়, বিচারক স্বল্পতার কারণেও প্রতিনিয়ত মামলার জট সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া শুধু মামলার জট, অতিরিক্ত সংখ্যক মানুষ আদালত পাড়াতে ভিড় করায় পুরো এলাকাটিই জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। এতে করে তারা নিজেরাও বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন আমরাও ঝুঁকিতে পড়ছি করোনা সংক্রমনের।

বিষয়টি আরো খোলাসা করে জানার জন্য কথা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সাথে তিনি বলেন দীর্ঘদিন করোনার কারণে আদালত পাড়া বন্ধ থাকা এবং সেইসাথেবিচারক সংকটের কারণে মামলা জট সৃষ্টি হয়েছে আশা করছি কার্যক্রম চলমান থাকলে নতুন করে বিচারক নিয়োগ হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।

বাদী ও বিবাদীরা আশা করছেন শিগশিগরই মামলার জট খুলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে আদালতের কার্যক্রম, রায় আসবে অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার।