২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রুপিং কোন্দলের শিকার ইলেকট্রিক দোকানের কর্মচারী রিজভী, মামলা তুলতে হুমকি,আতঙ্কে পরিবার

প্রকাশিত হয়েছে-

চট্টগ্রাম কণ্ঠ: ডেস্ক

চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট অবস্থিত ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ফরম পূরণ এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে সংঘাত ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল পুরো এলাকা জুড়ে,আর তার পরিসমাপ্তি ঘটল শেষমেশ বন্ধুর সাথে দেখা করতে আসা ইলেকট্রিক দোকানের কর্মচারী রিজভীর রক্ত ঝরিয়েই। আহত শিহাব উদ্দিন রিজভী এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭ নং ওয়ার্ডের আইডিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, যে কোন মুহূর্তে নিভে যেতে পারে শিহাব উদ্দিন রিজভীর জীবন প্রদীপ।

গত ২৬ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক সাড়ে আটটায় উত্তর নালাপাড়ায় পূর্ব ঘটে যাওয়া ঘটনার রেশ ধরে রিজভীকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা আহত রিজভীকে চমেক হাসপাতাল ভর্তি করে। ভর্তির পর থেকে হাসপাতাল বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বাগদাদ মার্কেটে ইলেক্ট্রিক্যাল দোকানের কর্মচারী রিজভী।

উক্ত ঘটনার বাদী হয়ে আহত রিজভীর বড় ভাই মোহাম্মদ নঈম উদ্দিন তুহিন ১৩ জনকে আসামি এবং চার থেকে পাঁচ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নগরীর সদরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,মামলা নং ১৫।

উক্ত মামলায় ১নং আসামী সাইফুল ইসলাম পারেল এবং ২ নং আসামী নোমান সাইফ সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয় ,উক্ত মামলায় ৮ নং আসামি ইয়াসিন আবরার গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে বেরিয়ে আসলেও বাকিরা কারাগারে রয়েছেন। অপরাপর অন্যান্য আসামিরা যারা গ্রেপ্তার হয়নি তারা রয়েছেন বেহাল তবিয়তে এবং ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এ ব্যাপারে আহত রিজভীর বড় ভাই মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন তুহিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ভাইয়ের অবস্থা খুব খারাপ কিছু বুঝতে পারছিনা এখন সে জীবন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে, কিন্তু অন্যদিকে যারা আমার ভাইকে হত্যার চেষ্টা করেছে তারা এখন প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘোরাফেরা করছে। প্রতিনিয়ত আমাকে এবং আমার পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে, যার কারণে আমি এবং আমার পরিবারের আতঙ্কগ্রস্থ,আমি সরকার এবং প্রশাসনের কাছে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

কি কারনে আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি এবং মামলার বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কয়েকজন আসামি আমরা গ্রেপ্তার করেছে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি আশা করি আমরা সবাইকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।