আজ ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাহাড়-গাছ নিধনে এপিক প্রপার্টিজের ৪শ্রমিক ধৃত অভিযোগকারী ও এলাকাসীদের বৃদ্ধাআঙ্গুলী।

নিজস্ব প্রতিবেদন

চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের পাহাড়ি এলাকা পার্সিভ্যাল হিলে দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে একটি পাহাড়ের মাটি কেটে যাচ্ছিল ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

গত ১০মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ সহ একাধিক বার আপত্তি প্রতিবাদ জানিয়েছে আসছিল এলাকাবাসী অবৈধভাবে পাহাড় ও গাছ বিরুদ্ধে। এরই ধারাবাহিকতায় এবং ব্যারিষ্টার মোঃ ওসমান চৌধুরী অকতোভয় প্রচেষ্টার প্রতিফলন বন্ধ হল অবৈধভাবে পাহাড় ও গাছ নিধন।

শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চকবাজার থানা পুলিশ পার্সিভ্যাল হিলে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার সময় এপিক প্রপার্টিজের নিয়োজিত চার শ্রমিককে আটক করে। এ ঘটনায় রাতে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

জানা গেছে, এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড পার্সিভ্যাল হিলে ‘এপিক ভুঁইয়া ইম্পেরিয়াম’ নামে ১২ তলাবিশিষ্ট একটি ভবনের প্রকল্প হাতে নেয়। এর আয়তন প্রায় ৫৯ কাঠা। ভবনটি নির্মাণের জন্য কয়েক মাস ধরে গোপনে পাহাড় কাটতে থাকে এপিক প্রপার্টিজের নিয়োজিত শ্রমিকরা।
বিটিআই হিলক্রেস্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন গত ১০ মার্চ এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয় বরাবরে অভিযোগ করে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর এতো দিন রহস্যজনকভাবে বিষয়টি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ নিয়ে পার্সিভ্যাল হিলের স্থানীয় লোকজন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়।

পুলিশ এপিক প্রপার্টিজের নিয়োজিত চার শ্রমিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর ঘুম ভাঙে পরিবেশ অধিদপ্তরের! এরপর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মনির হোসেন পার্সিভ্যাল হিলে পরিদর্শনে গিয়ে পাহাড় কেটে ফেলার দৃশ্য দেখতে পান। এরপর এ ঘটনায় চকবাজার থানায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৪ (২), (৩), ৬ (খ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই সেই সকল সচেতন জনসাধারণকে যারা অবৈধ যেকোনো কার্যক্রম,স্থাপনার বিরোদ্ধে প্রতিবাদে নিঃস্বার্থে এগিয়ে আসে সর্বাদায়।

এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থাগুলো যদি জনগণের বন্ধু হয়ে জনগণের পাশে থাকে তাহলে যেকোনো সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করা সম্ভব।এমন কার্যকরী সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণে এলাকাবাসীও সন্তুষ্ট।

এবং সকল সাংবাদিক মিডিয়াকর্মী সূর্য সন্তানদের যেসকল মিডিয়াকর্মীরা প্রকৃতির পাহাড়-গাছ রক্ষায় বীরদর্পে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নিজ-প্রতিপক্ষ শত্রুর বিরুদ্ধে ঝুঁকি সত্বেও আপোষহীন মনোভাব পোষণ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরছে। এবং সকল সাংবাদিক সহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন পত্রিকাকে যারা ব্যাপারটি কাভার করেছেন।

উল্লেখ্যঃ তথ্যঅনুসন্ধানে জানা যায়, এপিক প্রপারটিজ লিঃ দীর্ঘ ১৮বছরেরও বেশি সময় ধরে আবাসন ব্যাবসা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৫টি প্রজেক্টের মধ্যে ২৫টি প্রজেক্ট হস্তান্তর ৪৫০জনেরেও বেশি গ্রাহকদের মাঝে ফ্লাট হস্তান্তর করেন। রয়েছে এপিক হাসপাতাল,এপিক রেডিমিক্স,এপিক ইলেকট্রিক হার্ডওয়ারসহ আরও একাধীক অন্যান্যা নামে বানিজ্য প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রয়েছে তেমনি অনিয়মের একাধিক অভিযোগও। যা কিনা বায়োজিদ থানাধীন,আরেফিন নগর,ওয়াসা পানির টাংকি সংলগ্ন এপিক রেডিমিক্স প্রজেক্টের পাশে ভূমিদখল ও গাছ নিধন। অভিযোগকারীরা হলেন অত্র এলাকার বাসিন্দা দীর্ঘ ৩০বছর বসবাসরত ও সরকারি ইজারা প্রাপ্ত ৬পরিবার। অভিযোকরীদের দাবি তাদের উপর বিশেষ কায়দায় বসতভিটা ছাড়া করার গভীরসরযন্ত্র করছে নিষ্ঠুরতম নাটকীয় তাণ্ডবে। নির্বিচারে গাছনিধন করে ভূমিদখল,দখলীয় বসতভিটা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে একাধিকবার দিনে ও রাতের অন্ধকারে। ভুক্তভোগীরা বর্তমানে অসহায়ত্ব স্বীকার ও জেল-জুলুম নির্যাতনের স্বীকার।তারা একাধিকবার একাধিক দপ্তরে অভিযোগ আপত্তি জানিয়েছে কিন্তু কোন প্রকার সমাধান পায়নি আজও। তারা বসতভিটা স-ইচ্ছায় না ছাড়লে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি ও মিথ্যা মামলায় আসামি হয়রানির শিকার ৬পরিবার। দীর্ঘ ৬বছর ধরে এপিক প্রপারটিজ লিঃ নানানভাবে অসহায়,নদীভাঙ্গা ৬পরিবারের উপর বিশেষ কায়দায় বসতভিটা উচ্ছেদ করার পায়তারা চালিয়ে চৌকস সন্ত্রাসী অভিনব হামলার মাধ্যমে,দাবি অভিযোগকারীদের।

এসব একাধিক অভিযোগ আপত্তি অপরাধ জনিত বিষয়ে জানতে এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের সংশলিাষ্ট দায়িত্বশীল পদে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলেন,অনুমতি সাপেক্ষে জানাবে বলে জানিয়েছেন। পরে জানতে চেয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও কোন প্রকার উত্তর পাওয়া যায় নি। তারা বলেন বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানে। কর্তৃপক্ষের নাম্বার চাইলে দেওয়ার অনুমতি নেই। অফিসে আমাদের যোগাযোগ করতে বলে। পরে পরিচালক প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান ও প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে বার-বার কল করা হলেও তাদের নম্বরে পাওয়া যায় নি/বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় থানা,কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরে তথ্যঅনুসন্ধান, অভিযোগ,মামলা-হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন এটি আইন-আদালতের ব্যাপার এবং উক্ত বিষয়টি তদন্তাধীন আছে দ্রুত সমাধানের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর