আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে বারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় এলাকা

চট্টগ্রাম রিপোর্টার

৬ই জুন চট্টগ্রামে মুষলধারে বৃষ্টি জানান দিয়েছে  বর্ষা এসে গেছে একটু আগেভাগেই। যদিও আষাঢ় মাস আসতে আরও সপ্তাহখানেক বকি।  সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

জুন মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করার  অনুকূল পরিবেশ থাকতে পারে। চট্টগ্রামে বিভাগে ৭৮৯ মিলিমিটার স্বাভাবিক বৃষ্টি পাত হিসেবে ধরা হয়েছে। এই মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা গভীর নিম্নচাপে  পরিণত হবে। এছাড়া উত্তর মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনদিন মাঝারি অথবা তীব্র বজ্রঝড় ও অন্যান্য জায়গায় তিন থেকে চারদিন হালকা অথবা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী  বর্ষণ হতে পারে।  

আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, বছর তিনেক আগে অর্থাৎ বিগত ১৪২৫ বঙ্গাব্দের বৈশাখেই শ্রাবণধারায় আগাম বর্ষার এক ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। সেই বছর মধ্য বৈশাখ পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, তা বিগত সাড়ে তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে এবার কালবৈশাখী মৌসুমে প্রত্যাশিত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়নি।  

জুনের শেষ থেকে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্তই বর্ষা মৌসুম ধরা হয়। দেশের নদ–নদীর পানির ৯৩ শতাংশই আসে উজানের দেশ নেপাল, ভারত এবং কিছুটা ভুটান থেকে। ব্ৰহ্মপুত্র–যমুনা, গঙ্গা–পদ্মা এবং মেঘনা  অববাহিকায় বৃষ্টিপাতের ওপরই বাংলাদেশে বন্যা  হবে কিনা তা অনেকটাই নির্ভর করে। উজানের পাশাপাশি দেশে অতিবৃষ্টি হলে জুনের  শেষ দিকে ক্রমাগতভাবে নদ–নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। আর নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলেই  দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।  

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাক মৌসুমি বায়ু ও লঘুচাপের  প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে তা থেমে থেমে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে  দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হবে।  

এদিকে চাক্তাই খাল ও হিজড়া খাল পুরোপুরি পরিষ্কার না হওয়ায় বৃষ্টির পানি আশপাশের ঘর–বাড়িতে উঠে গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র অধীনে ৫ হাজার  ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান প্রকল্পের অধীনে  নগরের বিভিন্ন খালে বাঁধ দেওয়া হয়েছে, যা এখন জলাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে  করছেন  অনেকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর