আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবশেষে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুই উদ্ধার।

চট্টগ্রাম কন্ঠ ডেক্স 

রোববার (২ এপ্রিল) রাতে নগরীর হালিশহর থানার সিএন্ডবি ও খুলশীর মাস্টার লেইন এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার দুই শিশুর মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা হালিশহরের রামপুরা এলাকার মো. আলমগীরের কন্যা এবং খুলশীর সেগুন বাগান এলাকার বেলাল হোসেনের কন্যা জান্নাত আক্তার।
পুলিশ জানিয়েছেন, গত ২৮ মার্চ পড়ালেখার জন্য বকা দেওয়ায় হালিশহরের রামপুরা এলাকার বাসা থেকে অভিমান করে বের হয়ে যায় ৯ বছর বয়সী জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা। আত্মীয়-স্বজনের বাসাবাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে ২৯ মার্চ হালিশহর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুর মা পারভীন আক্তার।
সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা স্পিনা রানী প্রামাণিক জানান, শিশু মাইশাকে উদ্ধারের জন্য হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাহাদুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। উদ্ধার অভিযান পরিচালনা দল ওই শিশুর স্বজন ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থলের আশেপাশে তল্লাশি, নগরীর বিভিন্ন থানায় মাইকিং ও বাস, রেল স্টেশন, শপিংমলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টারিং করে। এছাড়াও নগরীর মনসুরাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, আম বাগান, পলোগ্রাউন্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে।
রবিবার রাতে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হালিশহরের সিএন্ডবি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ টিপুর হেফাজত থেকে মাইশাকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ টিপু জানান, ‘গত ২৮ মার্চ রাত নয়টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে পিছু নেয় শিশু মাইশা। এ সময় নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করলে কিছুই জানাতে পারেনি শিশুটি। আশপাশে খোঁজ করেও কোনো স্বজন না পেয়ে নিরাপত্তার জন্য বাসায় নিয়ে যাই৷ পরবর্তীতে ওই শিশুর স্বজনদের খোঁজ করেও ব্যর্থ হই।’
এদিকে গত ২৭ মার্চ রাত নয়টার দিকে নগরীর খুলশী সেগুন বাগান এলাকার ভাইয়ের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় ৯ বছর বয়সী আরেক শিশু জান্নাত আক্তার। শিশুটির মা মারা যাওয়ায় ভাইয়ের বাসায় থাকতো। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে খুশলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, নগরীর মাস্টার লেইন এলাকার বাসিন্দা রেলওয়ে কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসা থেকে জান্নাতকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে জানা যায়, স্বজনদের না জানিয়ে লালন-পালনের জন্য রেলওয়ে কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসায় দিয়ে এসেছিলেন শিশু জান্নাত আক্তারের খালাতো বোন সাজু আক্তার

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর