আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চকরিয়ার শাহারবিলের চেয়ারম্যান নবীকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর।

চকরিয়া প্রতিনিধি 

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু, গরু চোরাকারাবি, ইয়াবা সম্রাট বর্তমান চেয়ারম্যান নবী হোসেন ওরফে নইব্যার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা এলাকায় যত গরুম-মহিষ চুরি হয় সবই তার নেতৃত্বে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে গ্রেফতার করে না পুলিশ। এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না। বললেই মিথ্যা মামলা, হামলা ও প্রাননাশের হুমকি দিয়ে থাকে। এলাকায় একাধিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকলেও প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করছে নবী। এলাকার মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তি – শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন চকরিয়ার এলাকার বাসিন্দারা।
এই চেয়ারম্যান নবী একসময় চকরিয়াস্থ রামপুরা বাজারে মৌলভী আমির হোসেনের দোকানে চুরি করতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা ও অস্ত্রসহ ধরা পড়ে । অস্ত্র আইনে দীর্ঘদিন জেল খেটে বেরিয়ে এসে নবী আবারো একই কাজে লিপ্ত হয়। সে আন্তঃজেলা চোরচক্রের গডফাদার। টেকনাফের চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি সাইফুলকে নিয়ে ইয়াবার কারবার করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে নবী। পরে RAB এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল নিহত হয় আর নবীকে মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু কালো টাকার জোরে ঊর্ধ্বতন মহলকে ম্যানেজ করে ক্রসফায়ার থেকে রক্ষা পায় নবী। সেই সুযোগে অবৈধ টাকার সঠিক ব্যবহার করে দখল করে নে চেয়ারম্যানের পথটি। ক্ষমতা ও টাকা দুটোই যখন তার দখলে নতুন করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকায় সিন্ডিকেট তৈরি করে ইয়াবা কারবার আবারো শুরু করে নবী। পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী থানায় ধরা পড়া ইয়াবা কারবারিদের জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম উঠে আসে বারবার। নবীর বিরুদ্ধে মহেষখালী, কক্সবাজার সদর, চকরিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে নবী হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার বিরুদ্ধে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য এর আগেও একই কাজ করেছে তারা। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত এসব অভিযোগ মিথ্য বলে দাবি করেন নবী। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে থানার অফিসার্স ইনচার্জ গণমাধ্যমকে বলেন, নবী হোসেনে বিরুদ্ধে বেশকিছু মামলা রয়েছে যা বিচারাধীন। নবী হোসেনের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইন প্রয়োগকারি বিভিন্ন সংস্থার দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর