আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজারে ব্ল্যাকমেইল করে বিধবা-এতিমের সম্পত্তি আত্মসাৎ এর অভিযোগ, ভুক্তভোগীদের আর্তনাদ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার পৌর শহরে দেবর কতৃক বিধবা ও এতিমদের সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষে দেয়া উকিল নোটিশ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড স্টেডিয়াম পাড়ার বাসিন্দা মরহুম ইলিয়াস ও ছালাম এর   প্রথম পুএ মরহুম আবু-ই-মাহমুদ অলিভ দীর্ঘদিন মরণব্যাধি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ মার্চ/২০২২ সালে মৃত্যুবরণ করেন, মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী এবং এক কন্যা সন্তান রেখে যান, বর্তমানে ওনার এতিম মেয়ে সাবাতুর ইলিয়াস নির্ঝর, চট্টগ্রাম নগরীর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী, কক্সবাজার শহরে বাবার রেখে যাওয়া ঘর ভাড়া দিয়ে লেখাপড়া সহ অপরাপর খরচ চালিয়ে মা-মেয়ে কোন মতে জীবন যাপন করছেন। এদিকে স্বামীর অকাল মৃত্যুতে স্ত্রী কাজী রেবেকা সুলতানা এক পর্যায়ে  মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এরই মধ্যে মৃত আবু-ই-মাহমুদ অলিভ’র ছোট ভাই আমেরিকান প্রবাসী আবু-ই-মনসুর লিমন এই এতিমের সম্পত্তির উপর কু নজর পরে! তিনি বিভিন্ন ভাবে পিতা ও স্বামী হারা মা-মেয়েকে তাদের প্রাপ্য সম্পত্তি তাকে হেবা করার জন্য মানসিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।

একপর্যায়ে গত জুলাই /২২ ইং তিনি আমেরিকা হতে স্ব পরিবার বাংলাদেশে আসেন, দেশে এসেই সম্পত্তির আত্মসাতের কৌশল পাল্টিয়ে  কক্সবাজারের মোহাম্মদ সাহেদ সালাউদ্দীনের মালিকানাধীন মেসার্স জি এন এন এন্ড এইচ বিল্ডার্স নামের একটি ডেভেলপার কোম্পানির সাথে যোগসাজস করে অসুস্থ স্বামীহারা ভাবি ও এতিম ভাতিজি কে মানসিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করে এক প্রকার জিম্মি করে তাদের সঙ্গে নিয়ে আসা চুক্তিপত্র ও পাওয়ার অব – এটর্নী (আমোক্তার নামা) দলিলে স্বাক্ষর করিয়া নেয়! যা গত ০২/০৭/২০২২ইং তারিখে কক্সবাজার সদর সাব-রেজিস্টার অফিসে রেজিস্ট্রি হয়! উল্লেখ্য যে উক্ত ডেভেলপার কোম্পানি জমি দাতাগনকে বিনিময়ে কোন প্রকার অর্থ প্রদান করেননি এবং কখন নাগাদ নির্মাণকৃত ভবন তাদের বুঝিয়ে দেবে তাও উল্লেখ করেননি! পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মা-মেয়ে দু’জনই আইনজীবীর মাধ্যমে ঐ ডেভেলপার কোম্পানি বরাবরে তাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল ফিরিয়ে দিতে দলিল ও চুক্তিপত্র বাতিল করার জন্য গত ২৩ অক্টোবর /২২ইং লিগ্যাল নোটিস প্রদান করে, বর্তমানে একমাত্র জীবিকা নির্বাহের সম্বল হারিয়ে মা-মেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভুক্তভোগী এতিম সাবাতুর ইলিয়াছ নিঝর্ন প্রতিবেদককে জানান, আমার বাবা দীর্ঘ সাত বছর কিডনি রোগ আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহে তিনটে ডায়ালাইসিস দিতে হয়েছিল এ ব্যয়বহুল চিকিৎসা করতে গিয়ে বাবার সকল সঞ্চয় শেষ হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি, এদিকে আমাদের  জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন বাড়িটি ও আমার চাচা লিমন এক প্রকার আমাদের জিম্মি করে ডেভেলপারের হাতে তুলে দিয়েছে, বর্তমানে আমার মা খুবই অসুস্থ একদিকে আমার লেখাপড়ার ব্যয়বহুল খরচ অন্যদিকে মায়ের চিকিৎসা সহ যাবতীয় খরচ কোথা হতে আসবে? এখন আমরা মা- মেয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া কোন উপায় নেই!!   আমি আমার পিতার সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেব!! অপরদিকে অভিযুক্ত আত্মসাতকারী আবু-ই- মনসুর লিমন এর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর