আজ ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চকরিয়ায় হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ , ব্যর্থ হয়ে চুরির আঘাতে রক্তাক্ত

ঢকরিয়া প্রতিনিধি 

আবুল হাশেম ঢাকাস্থ ফারদিন ফ্যাশন লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) পদে  চাকুরী করেন। সপ্তাহে ছুটি পেয়ে চকরিয়া সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় তার গ্রামের বাড়ি আসেন । এরপর ছুটি শেষে ফজরের নামাজ পড়ে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার সময় ঘর থেকে বের হয় হাশেম। শনিবার (৫ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ছয়টায় দিকে পায়ে হেঁটে গাড়ির ষ্টেশনে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হয় হাশেম ও তার ভাই।

এসময় আগে থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার থেকে মোবাইল, টাকা ও অফিসিয়াল মূল্যবান ডকুমেন্ট জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। আর তাদের ধারালো ছোরা, লোহার রড, লাঠিসোঁটা ও অস্ত্র-শস্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা।

এদিকে আহত ভিকটিম ও তার ভাইকে স্থানীয় লোকজন এসে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

চকরিয়া সরকারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, আহত অবস্থায় হাশেম ও তার ভাই আসছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। হাশেমের বেশ কিছু শরীরের আঘাত প্রাপ্ত হয় ও রক্ত বের হয়েছে। থাকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে আবুল হাশেম বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের দিকে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে লোহার রড, লাঠিসোঁটা ও ছুরি মেরে তার থেকে টাকা এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এই সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ থেকে সর্বস্ব লুট করে এবং তাদেরকে বেধড়ক মারধর করে।

আহত আবুল হাশেমের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ফজরের নামাজ পড়ে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ষ্টেশনের দিকে রওনা করলে হঠাৎ সন্ত্রাসীরা আমাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করে এবং ধারালো ছোরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্য করে সজোরে গাঁয়ে মারলে আমি ডান হাত দিয়ে প্রতিহত করলে ডান হাতের বৃদ্ধা ও শাহাদত আঙ্গুলের মাঝখানে পড়ে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। এরপর আর একজন লোহার রড দিয়ে আমাকে সজোরে বারি মারে এবং বাম হাতের অনামিকা আঙ্গুলে পড়ে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। ফলে আমার বাম হাতের অনামিকা আঙ্গুলের (Fracture 4th Metacarpal) হাঁড় ভাঙ্গিয়া দ্বিখন্ডিত হইয়া যায়।

 

তিনি আরো বলেন, এই সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ রহমতে আমি প্রাণে বেঁচে যায়। আমি বাদী হয়ে মোঃ নুরুল আমিন (৫৫), ২। মোঃ আসিফুল (২৫), ৩। মোঃ আবিদুল হাসান (২৩) ৪। মোঃ রামিম হাসান (১৮) সহ আরো ৪/৫ জন মারধর করে । তাদের নামে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করি। আর সম্পূর্ণ ঘটনাটি ওসি স্যারকে অবহিত করেছি। তিনি এজাহার আমলে নিয়েছে এবং একজন কর্মকর্তা কে তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন। আর রবিবার বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নিবেন।

এঘটনার বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আবুল হাশেম ও তার ভাই আমার কাছে এসেছিল । আমি একজন এস‌আই কে দায়িত্ব দিয়েছি তদন্ত করার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর