আজ ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিশ্বজয়ে বাংলাদেশী হাফেজের স্বরণীয় জনস্রোতে সংবর্ধনা!

মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।

বাংলাদেশী হাফেজের বিশ্বজয়।বিশ্বজয়ী খুদে হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিমকে ঐতিহাসিক সংবর্ধনা। রাষ্ট্রীয় সরকারি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উৎসব আয়োজন না করলেও এটাই প্রথম সারাজাগানো সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলিম, কোরআন প্রেমীদের ভালোবাসায় সিক্ত জনস্রোতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়।দেশের ইতিহাসে প্রথম কোন হাফেজকে কুরআনকে শুভেচ্ছা জানানো হয় তাও গভীর রজনীতে বিমানবন্দরসহ রাস্তার স্বতঃস্ফূর্ত জনতার বাঁধভাঙা প্রাণঢালা অভ্যর্থনার মধ্যদিয়ে।

আজ শুক্রবার ২৩সেপ্টেম্বর ভোর ২টায় টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এয়ারপোর্টে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা ও শোডাউনের প্রস্ততিতে কুরআন প্রেমীদের ভালোবাসায় সিক্ত বিশ্বজয়ী হাফেজ। গভীর রজনীতে বিমানবন্দরে স্বতঃস্ফূর্ত জনতার বাঁধভাঙা অভ্যর্থনা।ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দেশের মাটিতে বরিত হলো,বিশ্বজয়ী কুরআনের পাখি সালেহ আহমদ তাকরিম।বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একজন হাফেজে কুরআনকে এভাবে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মাদরাসার পক্ষ থেকে আগামী সোমবার মিরপুর গোলারটেক মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা জানানো হবে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে মক্কার পবিত্র হারাম শরিফে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় তাকে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়াসহ
আরো অনেক পুরুস্কারে সম্মানিত করেছেন।

দুর্দান্ত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩জন হাফেজে কোরআনকে টপকে লাল সবুজের পতাকার জন্য আরেকটি গৌরব বয়ে আনলেন এই খুদে হাফেজ।

সৌদি আরব পবিত্র মক্কায় কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন দুর্দান্ত প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জনে আলোচিত ও প্রসংশিত হাফেজ তাকরিম এর বাংলাদেশ যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের জন্য অনেক বড় জয়,সম্মান ও গৌরবের,সেইসাথে প্রসংশিত আন্তর্জাতিক অঙ্গনসহ বিশ্বেজুড়ে। পবিত্র কোরআনের আলোকিত হোক সারা দুনিয়া আখেরাতে। যা সৃষ্টি জগতে শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুভূতি আচার নীতিতেও সর্বসম্মানিত।

বাংলাদেশের উপর আল্লাহ তাআলা রহমত নাযিল করেছেন,শুধু জয় আর জয়,বিশ্ববাসীর মুখে থাকবে বাংলাদেশের নাম।এতে সরাসরি যুক্ত হয় সোশ্যাল মিডিয়া,গণমাধ্যমসহ ইসলামপ্রিয় হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ছাদ খোলা বাস না থাকলেও খোলা আকাশের নিচেই কুরআনের পাখিকে বরণ করে নিলো লাখো মুসলিম জনতা।বাংলাদেশী হাফেজের বিশ্বজয়ের তৃপ্তিতে উল্লাসে উচ্চাসে প্রাণঢালা শতস্ফুর্ত ফুলেল শুভেচ্ছা অভিনন্দনে জনস্রোতে মহাসমুদ্রে পরিনত হয়।ছাদ খোলা বাস নয়!খোলা আকাশের নিচে কুরআনের পাখিকে বরণ করে নিলো লাখো মুসলিম জনতা

বাংলাদেশের গর্ব৷ বাংলাদেশের অহংকার৷ হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম কে পবিত্র কাবা ঘরের পাশেই ক্লক টাওয়ারে প্রবাসী ভাইদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷
মিরপুর মারকাযু ফায়জুল কুরআনের মেধাবী ছাত্র পূর্বে কয়েকবার বিশ্বজয়ী হাফিজ সালেহ আহমদ তাকরিম আবারো দেশের মুখ উজ্জল করলো ৩য় স্থান গড়ে।
বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করে বাংলাদেশের বিশ্বজয়। কুরআনের মেধাবী ছাত্র পূর্বে কয়েকবার বিশ্বজয়ী হাফিজ সালেহ আহমদ তাকরিম আবারো দেশের মুখ উজ্জল করে ৩য় স্থান করলো।সংবর্ধনার সময় তাকরিমের লাজুক বিনম্রতা,মাটির দিকে তাকিয়ে নিষ্পাপ মুচকি হাসি,
বাবা ও উসতাযদের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখা,
আনন্দের পরিশীলিত প্রকাশ,এই অনিন্দ্য সুন্দর গুণগুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে।মহান আল্লাহ তাঁকে বিশ্বজয়ী আলিম হবার তাওফিক দিন।

এয়ারপোর্টে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা ও শোডাউনের প্রস্তুতি
কুরআন প্রেমীদের ভালোবাসায় সিক্ত বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একজন হাফেজে কুরআনকে এভাবে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

কুরআনের পাখিকে বরণ করে নিলো লাখো মুসলিম জনতা
বাংলাদেশের গর্ব৷ বাংলাদেশের অহংকার৷ হাফেজ তাকরিম কে পবিত্র কাবা ঘরের পাশেই ক্লক টাওয়ারে প্রবাসী ভাইদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করে বাংলাদেশের বিশ্বজয়। ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দেশের মাটিতে বরিত হলো, বিশ্বজয়ী কুরআনের পাখি সালেহ আহমদ তাকরিম।

সংবর্ধনার সময় তাকরিমের লাজুক বিনম্রতা,মাটির দিকে তাকিয়ে নিষ্পাপ মুচকি হাসি,বাবা ও উৎসাহদাতা উৎসূক জনতার আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখা,আনন্দের পরিশীলিত প্রকাশ,এই অনিন্দ্য সুন্দর গুণগুলো মুগ্ধ করেছে অনেকেই।

মহান আল্লাহ যেন তাঁকে বিশ্বজয়ী আলিম হবার তাওফিক দিন। বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম ও তার উস্তাদকে এয়ারপোর্টের ভিআইপি লাউঞ্জে বিশেষ সম্মাননা প্রদান। গভীর রাতে পুরো এয়ারপোর্ট এলাকায় কুরআনের প্রেমিকদের ঢল! ক্রেস্ট,ফুলের তোরা,ফুলের পাপড়ী ছিটিয়ে ভালোবাসায় সিক্ত করলো কুরআনের পাখিকে।
আল্লাহ তাকে বিশ্ব নন্দিত আলেম হিসেবে কবুল করুন।

তার এ সাফল্যে স্বাগত অভিনন্দন জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো.ফরিদুল হক খান।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ আরও অনেকেই।

উল্লেখ্যঃ এর আগে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম ৭ম স্থান অর্জন করেন। এ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ৭ম স্থান অর্জন করার পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন তাকরিম।
গত ২২ মে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে লিবিয়ার বন্দরনগরী বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত ১০ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
এর আগে তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তাকরিম বিশ্বে ১ম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা বিশ্ব দরবারে সমুন্নত করেন।
হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম ঢাকার মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামি মাদরাসার শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদরাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী।
তার কৃতিত্বের জন্য তাকরিম নিজে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট তার বাবা-ৃমা ও গুলশান সোসাইটি মসজিদের খতিব মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর