আজ ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম ইউএসটিসিতে আবারো মানুষের জীবন নিয়ে খেলা।


চট্টগ্রাম কন্ঠ : ডেক্স

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকা ফয়েকলেক সংলগ্নে অবস্থিত
বেসরকারি হাসপাতাল ইউএসটিসিতে আবারও রোগীর প্রতি চরম অবহেলা ভোগান্তি ভুল চিকিৎসাসহ নানা অভিযোগ অনিয়ম ভোগান্তির আপত্তি তুলেছে ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনরা।ডাক্তারের কি এমন অপেরেশন করল ৭০কেজি ওজনের মানুষ হয়ে গেলো ২৭ কেজি।হাসপাতালের ডাক্তার,ব্যাস্থাপনা,কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক রোগীর প্রতি ভুল চিকিৎসার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

২০ আগষ্ট সরেজমিনে ভুক্তভোগীর পরিবারের বক্তব্যে
রোগীর প্রতি চরম অবহেলা ভোগান্তি ভুল চিকিৎসাসহ নানা অভিযোগ অনিয়মের অভিযোগ কথা জানায় ভুক্তভোগী রোগীর পরিবারের সদস্য,স্বজন ও ভিন্ন রোগীদের স্বজনরা।

জানা যায়,আড়াই মাস আগে পেটের ব্যাথাজনিত রোগে পরিবারের সাথে চিকিৎসা নিতে আসেন চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানা এলাকার আমির হোসেনের পুত্র নুর নবী(৩২)।এইচ এসসি পাশ করেও পরিবারিক অসচ্ছলতার কারণে রাজ যোগালি শ্রমিকের কাজ কাজ করতো।কিন্তু বাস্তব জীবন থেমে যায় রোগেআক্রান্ত হওয়ার করুন বাস্তবতার কারণে। চিকিৎসার সুফল মেলেনি তার ভাগ্যে।পরকালের ডাকে জীবের শেষ প্রান্তে,শেষ বিদায়ে পরি দিচ্ছে না ফেরার দেশে।নামে মাত্র প্রাণে বেঁচে থাকলেও শারীরিক অক্ষমতায় সপূর্ণ অচল। জীবীত থেকেও যেন নিষ্ক্রিয় নিষপ্রাণ জীবন্ত লাশ। না মরা না জীবীত প্রাণ থাকলেও জীবীত কঙ্কাল।

হাসপাতালে ভর্তির একসপ্তাহ পরেই নুর-নবীর অবস্থা আশংকাজনক বলে জরুরি অপারেশনের সিদ্ধান্ত দেন চিকিৎসক।ভুল অপারেশন ও পরে চিকিৎসকের অবহেলা ও গাফিলতিতে তার পেটের নাড়ীভুঁড়ি ছিড়ে যায়। এবং পর্বতীতে চিকিৎসায় অবহেলা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন তার পরিবারের সদস্যরা।ডাক্তারের কি এমন অপেরেশন করল ৭০কেজি ওজনের মানুষ হয়ে গেলো ২৭ কেজি।
এমনকি অপারেশন পরবর্তী রোগীর প্রকৃত রোগ কি জানতে চায়লে এবং ফাইল পত্র দেখতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান। রোগীর অপারেশন পরবর্তী নিয়মিত ড্রেসিং না করা ও খোঁজ খবরে গাফিলতি প্রদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসক নার্স কথা বলতে নারাজ।
সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ বদিউল আলম,বাদল এমবিবিএস,এম.এস (সার্জারী) তিনি বলেন,আমি হাসপাতালের দায়িত্বে কর্তব্য কোন প্রকার চিকিৎসা বা সিদ্ধান্তে অবহেলা করা হয়নি। চিকিৎসাধীন রোগীর আমি চিকিৎসক হিসাবে শুরু থেকেই যতাযত চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান।রোগীর অবস্থা অত্যান্ত জটিল,আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে ও অপারেশনে আগে ও পরে একাধিকবার বোর্ড বসিয়ে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এবং একাধিক বার রোগীর চিকিৎসার সুব্যবস্থা প্রসংগে তাদের বলা হয়েছে যে,আপনাদের যদি মনে হয় যে সঠিক ও সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না অথবা বাহিরে গিয়ে আরো ভালো চিকিৎসা পাবেন তাহলে রোগী নিয়ে চলে যেতে পারেন। রোগীর পরিবারের এমন অভিযোগ সত্য নয় এবং প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে অশোভন আচরণ করে বলেও দাবি তোলে।

এর আগে ফেব্রুয়ারি-২২ইং চিকিৎসা অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগে ইউএসটিসির ৫ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।এছাড়াও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো জাহাঙ্গীর নামের এক ভুক্তভোগী পরিবার।

স্রষ্টার সৃষ্টি জগতের পরেই হল ডাক্তার।সেবামুলক কাজ,উপকারী পেশা,সেচ্ছাসেবী ও জীবন রক্ষায় এ পেশাই সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উর্ধ্বে ও সম্মানিত। ডাক্তারী পেশা মানবসেবায় শ্রেষ্ঠ মহান। বিশ্বাস শ্রদ্ধাভক্তি অনুভূতি জায়গায় ভিন্ন পেশার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এ পেশা। জীবন রক্ষাকবজ হিসেবেও মানুষ এ মহান পেশাকে সম্মান শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন অকৃত্রিম ভালবাসায়।

কিন্তু এ পেশার সেবানামক অন্তরালে নির্মম নির্দয় লোমর্ষকভাবে চলছে বানিজ্যকায়ন ও টাকা আদায়ে বিকল্প পেশা হিসেবে।রোগীরা যেন টাকা উৎপাদন কারখানার বাজার পন্য। শতশত পরীক্ষার নামে মাকড়শার জালে জড়িয়ে আদায় করে টাকা।যেন টাকার গাছ বা টাকার মেশিনে পরিনত হয়েছে প্রায় হাসপাতাল। টাকার মেশিনের পন্য হিসেবে কাচামালের মতোই যেন ব্যবহার করছে রোগীদের।

ফাঁদে ফেলে কৌশলে মানুষকে জবাই করে দেন এমন ডাক্তারও কম নয়। ভাবিয়ে তোলে এমন কসায় খ্যাত রোগীখেকো ডাক্তারদের বিবেগমৃত লোমহর্ষক কর্মকান্ড। যা রোগীর বাস্তব জীবনে শতশত প্রতিনিয়ত হচ্ছে।মানুষ মানুষেের জন্য তাই আর কোন রোগীই আর কোন ভুল চিকিৎসা কিংবা অবহেলার শিকার না হয়।এমনটাই দাবি ও প্রত্যাশা ভুক্তভোগী ও সচেতনমহল ও সকলের। আর নয় অপচিকিৎসা আর নয় অবহেলা আর নয় অপচিকিৎসায় মৃত্যু। যা-রটে তা-তো বটে তাই অপচিকিৎসা নাকি স্বজনদের মিথ্যাচার তা খতিয়ে দেখার দাবি সকলের যতাযত কর্তৃপক্ষ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর