আজ ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫দিনব্যাপী খাবার সহায়তায়
মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশন।

চট্টগ্রাম রিপোর্টার : মোহাম্মদ মাসুদ

মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী যাঁর সংগ্রামী জীবনের সপ্নীল ভৃবনের অসাধারণ স্মৃতির প্রাচুর্য্যে সম্বৃদ্ধ চট্টলার মাটি ও মানুষ। মহানের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মৃতিচারণে ও স্মরণে ১৫দিনব্যাপী এতিমখানা পথচারীদের খাবার বিতরণ করে মরহুম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশন।

বিগত ১৫দিনে সর্বোমোট ৩০০ এতিমখানার ছাত্র ও ১২০০ পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করে মরহুম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশন।

মহিউদ্দিন চৌধুরী যিঁনি ছিলেন বহুগুনে অতুলনীয় ও অনন্য। যিঁনি ছিলেন সকলেরই কাছে একনামেে একবাক্যে কর্মগুণে পরিচিত ও সর্বাধিক আলোচিত।যিঁনি সর্বস্তরের মানুষের জন্য ছিলেন জনদরদী ও নিবেদিতপ্রাণ।মহানের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ও স্মরণে ১৫দিনব্যাপী মহানগরীর ১৫টি পাবলিক স্পটে এতিমখানা ও অসহায় পথচারীদের খাবার বিতরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন উক্ত ফাউন্ডেশন l

যা কিনা এক জনদরদি ভিন্নধর্মী ও ভিন্ন ভিন্ন মানবিক সেবামূলক জনকল্যাণে নিয়জিত ও আলোচিত মরহুম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশন।

এই সেবামূলক খাবার বিতরণ কার্য্যক্রমে অতিথী হিসাবে সেচ্চায় সক্রিয় ও স-উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেণ্য জামেয়া আহমদিয়া ছুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ ওসীয়র রহমান। মহানগর গাউছিয়া কমিটির সভাপতি আলহাজ তছকির আহম্মদ,চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন কুমার ধর সহ বিশিষ্টজন ও গন্যমন্য ব্যক্তিবর্গসহ সংশ্লিষ্টসহ আরো অনেকেই ।

প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর মহান বিজয় দিবস মাসেই জন্ম ও মৃত্যু। বিজয় তাঁর প্রিয় শব্দ তাই বিজয়ের মাসে ১ডিসেম্বর হতে ১৬ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কার্য্যক্রম সূচারুরুপে সম্পন্ন করে উক্ত ফাউন্ডেশন।

এতিমখানা ও অসহায় পথচারীদের খাবার বিতরণে স্পট গুলো হল নগরীর কোতোয়ালী থানার মোড়,চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সংলগ্ন চত্বরে, জামালখান চেরাগী পাহাড় মোড়, শাহ আমানত দরগাহ মোড়, শাহ বদর আউলিয়ার মাজার সংলগ্ন চত্বর,নগরীর বহদ্দারহাট আর বি কনভেনশন হলের মোড়, আন্দরকিল্লা রেড হাসপাতাল চত্বর,দেওয়ানহাট সুপারিপারা মোড়,চন্দনপুরা রোডের মোড়, আলকরণ স্কুল মোড়,পঃ বাকলিয়াস্হ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী বাই লেইন, ইউনুছ রোডের মোড় এছাড়া শাহ আমানত এতিমখানা,মদিনা হেফাজখানা,কাদেরীয়া চিশতিয়া তাহেরীয়া এতিমখানা,আলকরন ইসমাঈললিয়া হাশেমিয়া হেফজখানাসহ দূটি ছিন্নমূল সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের স্কুলে দূপুরে খাবার বিতরণ করা হয়।

এসব বিতরণ কাজে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন- ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্নদ শহিদুল আলম, গাউছিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার,যুগ্ন মহাসচিব এড মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার,মহানগর গাউছিয়া কমিটির সভাপতি আলহাজ তছকির আহম্মদ,আর বি কনভেনশন হলের চেয়ারম্যান মওলানা আব্দুল্লাহ,সাবোক ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ উদ্দিন চৌধুরী রিন্টু,সাদ্দাম হোসেন,দেলোয়ার হোসেন,মওলানা নুরুল আবছার কাদেরী, সানোয়ার ইসলাম টিংকু,পারভেজ আলম,জেমিসন মাতৃসদন হাসপাতালের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশরাফুদৌলা সুজন,শাহজাদা ইদ্রিস চৌধুরী সেলিম,মওলানা হেলাল উদ্দিন চিশতি,মওলানা মসউদূল হক,মওলানা হাফেজ মাহমুদুল করিম,হাফেজ আরমান,সিরাজ খন্দকার, সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সদস্য ও দারূল উলুম কামিল মাদরাসা ছাত্র সংসদের ভিপি মওলানা রফিকুল ইসলাম।

প্রসঙ্গঃ এই খাবার বিতরণ কার্য্যক্রম হাতে নিয়েছে চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী রুমেল। যা চট্টলবীরের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ও স্মরণে। যা চট্টলাবাসির স্মরণকালের ইতিহাসে ও চট্টলপ্রেমে বেঁচে থাকবে মহিউদ্দিন l ঐতিহাসিক ইতিহাসের মহিউদ্দিনের স্মৃতিচারণে ও স্মরণে বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

চট্টলার মাটি ও মানুষের কিংবদন্তি সাহসী ও চট্টলার আলোকিত সৃর্যসন্তান মহিউদ্দিনের গৌরবময় জীবনের পূর্ণময় কর্মগুনের স্বরণে এই কার্য্যক্রম l

ফাউন্ডেশনের এমন মানবিক নিঃস্বার্থ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ভিন্নভাবে সামাজিক কাজের অংংশ হিসেবে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। যা কিনা জনদরদি জনসেবা ও মানবিক সহায়তায় অকৃত্রিম আন্তরিক পরিপূর্ণতার প্রতিফলনের বাস্তব দৃষ্টান্তেও অনন্য l যা মানবিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছতার বাস্তবায়নের ভিন্নধর্মী এক ভিন্ন মানবিক অভিযাত্রার নিত্যনতুন প্রতিদিনের সামাজিক আলোকবার্তার প্রতিক।

এমন মানবিক কাজে প্রমাণিত হলো যে মানুষ মানুষের জন্য মানুষ মানবতার জন্য।যা কিনা সত্যিই প্রশংসনীয় ও উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জাগানোর জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে। মানবিক কাজে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় থাকবে বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মের।

মহানের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ও স্মরণে এমন ত্যাগ পর-উপকার নিরস্বার্থ মানবিক কাজের জন্য প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী এমন নিরস্বার্থ ভক্ত, অনুসারী ভক্তবৃন্দ আর অনুগত রেখে গেছেন যা সত্যিই বিরল ও প্রশংসনীয় তেমনি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জাগানোর জন্য শিক্ষণীয়।যা আলোচিত হয়েছে অন্যান্য ভক্তবৃন্দ অনুগতসহ বিশিষ্টজন ও গন্যমন্য ব্যক্তিবর্গসহ সংশ্লিষ্ট আরো অনেকের মাঝেেই ।

যার প্রশংসায় উচ্ছাসিত ও গুনমুগ্ধে আশ্চর্য্য ও অবাক বিষ্ময় প্রকাশে প্রশংসা করেছেন- সমাজবিজ্ঞানী- ড.অনুপম সেন।(জন্ম ৫ আগস্ট ১৯৪০) একজন বাংলাদেশি সমাজবিজ্ঞানী যিনি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে পালন করছেন। ২০১৪ সাল শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর